উন্নাও: কাজে যোগ দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি। আর তার মধ্যেই বড়সড় অঘটন। জানা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের এক বেসরকারি হাসপাতালের নার্স কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের এই উন্নাওতেই একটি ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। এই ঘটনা সেই ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, মৃত ওই নার্সের পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে খবর।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের ‘নিউ জীবন’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাক্ষী সিং জানিয়েছেন, গত শনিবারই কাজে যোগ দেন ওই নার্স। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই হাসপাতালের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। সেই সঙ্গে অভিযোগ, মৃত ওই নার্সের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখার পরেও তা নামানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং সেই অবস্থাতেই মৃতার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। এরপর প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন স্থানীয় থানায় খবর দেন।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ নার্সের দেহটিকে উদ্ধার করেন এবং সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার পরেই খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ওই নার্সের পরিবার। জানা গিয়েছে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। বিষয়টিকে তাঁরা একটি গণধর্ষণের ঘটনা বলেই দাবি করছেন। তবে পুলিশ সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই ওই নার্সের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে যেখানে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাহলে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটল? সদ্য কাজে যোগ দেওয়া ওই নার্সের মৃত্যুর পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? আদৌ কি তাঁর ধর্ষণ হয়নি নাকি এবারও সত্যি লুকিয়ে যাচ্ছে যোগীর পুলিশ তা নিয়েও ইতিমধ্যে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে যোগী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। ওই এলাকারসহ সমগ্র উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন।