লখনউ: ফের যোগী রাজ্যে মাথাচাড়া দিল দলিত বিতর্ক। এবার সরাসরি যোগী সরকারের দিকে দলিত সম্প্রদায়কে অসম্মানের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী দিনেশ খটিক স্বয়ং। যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্য এই দলিত মন্ত্রীর অভিযোগ, তিনি দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় তাকে কোন সম্মান দেওয়া হয় না। অন্যান্য নেতা মন্ত্রী তো দুরস্ত, রাজ্যর সরকারি অফিসাররাও দলিত বলে তাকে কোন সম্মান দেন না এবং তার নির্দেশ পালন করেন না। আজ অর্থাৎ বুধবার এই সমস্ত অভিযোগের কথা সবিস্তারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে মন্ত্রিসভার পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীনেশ। তবে এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে এই সমস্ত বিষয় সশরীরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কানে তুলতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন তিনি। অন্যদিকে মন্ত্রীর এহেন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত শোরগোল উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে। জাত পাতের বিভেদে যোগীর মন্ত্রীসভাতেও ভাঙন ধরছে, এমনটাই মত রাজনীতিবিদদের একাংশের।
জানা যাচ্ছে এদিন একটি দীর্ঘ চিঠিতে দীনেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রকল্প নমামি গঙ্গে যোজনার যাবতীয় তথ্য যখনই তিনি আধিকারিকদের কাছ থেকে চেয়েছেন তখনই তারা তা মুখের উপর দিতে অস্বীকার করেছেন। এমনকি এই সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারাও মন্ত্রীর মুখের উপর ফোন কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই চিঠিতে তিনি আরো লিখেছেন, রাজ্যের সরকারি বিভাগের দলিত রাজ্য প্রতিমন্ত্রীর কোনও অস্তিত্ব নেই। আর তাই রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে দলিত সমাজের প্রতিনিধি হিসেবেও তারও আর কোন মূল্য নেই।
এমনকি তিনি খোদ মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও একরাশ খোপ উগ্র দিয়েছেন ওই নালিশ চিঠিতে। তার অভিযোগ দলিত হওয়ায় তার দপ্তরের সদস্যরাও তার কোন কথা যেমন শোনেন না। এমনকি তাকে মন্ত্রিসভার কোন বৈঠকেও ডাকা হয় না। রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে তিনি শুধু গাড়ি পেয়েছেন বলে অভিযোগ দীনেশের।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের জলশক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দিনেশ ফটিক। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরো একবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন এই মন্ত্রী। কারণ এই সময় তিনি হস্তিনাপুরে গিয়ে দাবি করেছিলেন, খুব শীঘ্রই হস্তিনাপুরের অভিশাপ শেষ হবে এবং শুরু হবে বিকাশ.। মহাভারতে বর্ণিত এই ঐতিহাসিক নগরকে ফের ঢেলে সাজিয়ে তোলা হবে বলেও দাবি করেছিলেন এই মন্ত্রী।