নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত নতুন করে বেশ কয়েকটি রাজ্য এই প্রতিবাদের অংশ নিয়েছে৷ যদিও সরকারের এনআরসি লাগুর কোনও পরিকল্পনা নেই এবং এপ্রসঙ্গে সরকার বা মন্ত্রিসভায় কোনও আলোচনাও হয়নি বলেই দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে সিএএ-এর পক্ষে সোচ্চার তিনি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলাতেও একই সুর শোনা গেছে৷ অর্থাৎ আগে প্রকৃত নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ হবে৷ আর যোগ্য অনুগামী হিসেবে এই কাজে প্রথমেই এগিয়ে এলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷
নতুন বছরের শুরুতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এর আওতায় নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে উত্তরপ্রদেশে৷ এই প্রক্রিয়ায় যারা রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদেরও চিহ্নিত করা হবে৷ অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ আবস্তির কথায়, ইতিমধ্যেই ৭৫৫ টি জেলার ম্যাজিস্ট্রেটকে সেইসব নাগরিকদের চিহ্নিতকরণের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে এসে বেআইনিভাবে কয়েক দশক ধরে এই রাজ্যে বসবাস করেছেন৷
তার মতে আফগানিস্তান থেকে আসা এধরনের শরণার্থীর সংখ্যা ইউপি-তে খুব কমই আছে৷ তুলনায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের সংখ্যাই বেশি যারা নিজের দেশে নির্যাতিত হয়ে এখানে এসেছেন৷ মূলত লখনউ, হাপুর, রামপুর, শাহজাহানপুর, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে এরা বসবাস করছেন৷ তিনি আরও বলেন, সর্বপ্রথম এই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ এর উদ্দেশ্য, প্রকৃত শরণার্থীদের চিহ্নিত করে সিএএর নতুন বিধান অনুযায়ী এদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা৷
প্রশাসন সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে অবৈধ মুসলিম শরণার্থীদেরও একটি তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ যদিও এর পর তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করার বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি৷