নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে প্রবীণদের। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর পরিসংখ্যানটা একটু অন্যরকম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই দেশে করোনায় মৃত্যুর মধ্যে ৬০ বছর বয়সের নীচে ছিলেন ৫০ শতাংশ। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় বর্তমানে ৬০ বছরের নীচে বয়স যাঁদের, এমন আক্রান্তের মৃত্যুর হার দ্বিগুণ হয়েছে বলেই সংবাদসূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড ১০ ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১,০৭৫ জনের। তার মধ্যে ৫০ শতাংশ আক্রান্তের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি। অথচ দু'সপ্তাহ আগে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ৬০ বছরের নীচে রোগীর হার ছিল ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, এমন আক্রান্তদের হার ৯.২ শতাংশ। যা এর আগেও তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ কম বলেই জানা গেছে। অর্থাৎ যেখানে বারবার আলোচনা বিষয় হিসেবে উঠে আসছে প্রবীণ আক্রান্তের মৃত্যুর খবর, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ৬০ বছরের নীচের আক্রান্তদের মৃত্যুর ঘটনা করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শেষ দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৪৫ বছরের নীচে বয়স, এমন আক্রান্তের মৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ। ৪৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁদের মৃত্যুর হার ৩৪.৮ শতাংশ। ৬০-৭৫ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁদের মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ ৪৮.৮ শতাংশ করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের নীচে, যাঁদের বয়স।
আগামী ৩ মে পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার লকডাউন জারি হয়েছে গোটা দেশে। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া রাজ্যগুলি কোনও এলাকাকে গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদান এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, গ্রিন জোনের আওতায় সেই সব জেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে লকডাউনের প্রথম দফায় নতুন কোনও আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। সেই সময়ে তিনি ১৩০টি জেলাকে রেড জোন, ২৮৪টি জেলাকে অরেঞ্জ জোন এবং ৩১৯টি জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।