এখনও করোনা মুক্ত নয় ভারত, সতর্ক হতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের!

এখনও করোনা মুক্ত নয় ভারত, সতর্ক হতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের!

6f092cb4a4b8dfab4838dcdf2bcc5570

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের যে সংক্রমণ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব জুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তার আতঙ্ক এখন কেটে গেছে অনেকটাই। ভ্যাকসিনের আবিষ্কার মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে স্বস্তির বার্তা। কিন্তু অতিমারী কি শেষ হয়েছে? বলা বাহুল্য, বিপদ কিন্তু একেবারে কেটে যায় নি। আর তাই অতিমারী আবহের শেষ বেলায় কোনোরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ভারত সরকারও।

করোনা আবহে মানুষের সতর্কতা, সচেতনতা যাতে কোনোভাবেই হ্রাস না পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকা, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। গত চার মাস ধরে দেশে সংক্রমণের হার ধারাবহিকভাবে কমে চলেছে। কিন্তু করোনা অতিমারীকে পুরোপুরি পার করতে আরো কিছু সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। সেই সূত্রেই কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্য তথা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলির সরকারের উদ্দেশ্যে কিছু নতুন গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তের বিপদ কাটাতে এই কেন্দ্রীয় গাইডলাইন বিশেষ কার্যকরী বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ঠিক কী কী নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? বস্তুত, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য গুলিকে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি দৃঢ় ভাবে মেনে চলার আদেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জারি নির্দেশিকা যেন বহাল রাখা হয় এবং কনটেনমেন্ট জোন গুলিতে যাতে করোনা বিধি শিথিল না হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লকডাউন পরবর্তী আবহে সিনেমা হল থেকে শুরু করে নানা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঠিকই, কিন্তু সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রের তরফে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আন্তঃরাজ্য গতিবিধিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। তবে আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার করতে বলেছে কেন্দ্র। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে তাঁদের জন্যেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই যাতে কোনো ভুলে নতুন করে বিপদ না বাড়ে এবং সুষ্ঠুভাবে অতিমারীকাল কেটে যায় তা নিশ্চিত করাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মূল লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর শেষ বেলায় যাতে বিপদ না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে কিছুদিন আগেই নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *