নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ অব্যাহত মৃত্যু মিছিল৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৮ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের৷ তবে, যে হারে করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা ভারতে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ এবার সেই সমস্ত আশায় জল ঢেলে অবস্থান স্পষ্ট করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ গোষ্ঠী সংক্রমণ চিন্তার বিষয় নয়, চিন্তা বাড়ছে লকডাউন বিধি পর্যাপ্ত ভাবে পালন না হওয়া৷ মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল৷
আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘‘যারা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে ভুলে আমাদের সেবা করছেন, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুঃখজনক৷ আমাদের উচিত এই বিষয়ে সহযোগিতা করা৷ গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ডাকে গোটা দেশ স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য দীপ জ্বালিয়েছিলেন৷ আমার আবেদন, আপনারা দীয়া যেমন জ্বালিয়েছিলেন, এবার বাস্তবেও তা কার্যকর করুন৷
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনরকম করোনা সংক্রান্ত লক্ষণ ফুটে ওঠে শরীরে, তাহলে তা যেন কোনও ভাবেই গোপন না করা হয়৷ অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি৷ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, গোটা বিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়৷ একমাত্র সামাজিক দূরত্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার পথ৷ অনুরোধ, আমরা সবাই একসঙ্গে লড়াই করছি, আপনিও আসুন৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন৷
গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘দেশে এখনই কোনও গোষ্ঠী সংক্রমনের সম্ভাবনা তৈরি হয়নি৷ যদিও আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজন৷ এটার রুখতে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, আমরা নিচ্ছে৷ এটা ঠিক, কয়েকটা পজিটিভ কেস আসছে, যেখানে কোনও বিদেশ ভ্রমণ বা ভিন রাজ্যে যাওয়ার ইতিহাস নেই৷ সেই সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি৷ কিছু এলাকায় আমাদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে৷ তবে গোষ্ঠী সংক্রমনের কোনও সম্ভাবনা এখনও তৈরি হয়নি৷ এরকম কোনও সম্ভাবনাও নেই৷ এই মুহূর্তে চিন্তার বিষয় গোষ্ঠী সংক্রমণ নয়৷ আমাদের চ্যালেঞ্জ, লকডাউন বিধি সঠিকভাবে পালন করা৷ তাহলেই আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব৷’’ যদিও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করেছিলেন৷ পাঞ্জাব সরকারের সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷