নিউ ইয়র্ক: করোনা ধাক্কায় ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি৷ দেখা দিয়েছে আর্থিক মন্দা৷ এরই মাঝে ভারতের জন্য সুখবর দিল রাষ্ট্র সংঘ৷ করোনার দৌরাত্মে বিশ্ব অর্থনীতি কাহিল হলেও, ভারতের উপর এর প্রভাব পড়বে না বলেই জানাল রাষ্ট্র সংঘের বাণিজ্যিক রিপোর্ট৷ তাদের কথায়, এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে চিনও৷
রাষ্ট্র সংঘের বাণিজ্যিক রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার জেরে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি৷ যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর৷ উন্নয়নশীল দেশগুলি একেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে৷ দোসর অর্থনৈতিক সংকট৷ রাষ্ট্রসংঘের মতে, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতেও উন্নত দেশগুলি এবং ভারত প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার ত্রাণ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতির নিরিখে যা খুবই চমকপ্রদ বলে মনে করছে রাষ্ট্র সংঘ৷
তাঁদের বিশ্লেষণ বলছে, বিশ্বের বহু দেশ এই অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে উঠতে হিমশিম খাবে৷ তবে বিশ্বব্যাপী মন্দার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে ভারত ও চিন। যদিও কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তারা একথা বলছেন, তার সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই রিপোর্টে। মনে করা হচ্ছে, এই দুর্দিনেও ভারত সরকারের যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার উপর ভিত্তি করেই এমন কথা বলছে রাষ্ট্রসংঘ৷ অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে উঠেছে চিন৷ অধিকাংশ জায়গা থেকে উঠে গিয়েছে লকডাউন। ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে তাদের জীবনযাপন৷ ধীর গতিতে হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে চিনের অর্থনীতি৷
দিন দুই আগেই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড) ঘোষণা করেছিল, করোনার জেরে এক দশকের সর্ববৃহৎ আর্থিক মন্দার দিকে হাঁটছে বিশ্ব। আইএমএফের মতে, এখনই করোনার প্রকোপ দমন করা না গেলে ২০২১ সালেও বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এই আর্থিক মন্দার মূলে রয়েছে লকডাউন৷ আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার মতে, এই লকডাউনের ফলে বিশ্বের আর্থিক এবং সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে একাধিক সংস্থা৷ তাঁর আশঙ্কা, কাজ হারাবেন বহু মানুষ৷ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে চরমে পৌঁছবে এই আর্থিক মন্দা৷