নয়াদিল্লি: আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কিন্তু তিনি আসতে পারছেন না। এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভারতে না আসতে পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তিনি যে কারনে আসছেন না সেই কারণটা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত।
নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নাজেহাল অবস্থা ব্রিটেনের। ব্রিটেনের ছাড়াও ইউরোপের একাধিক দেশ নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসে সংক্রামিত এবং দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এই আতঙ্কের পরিস্থিতির মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতে আসতে চান না একেবারেই। সেই কারণেই আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে দেখতে পাবেননা দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বয়ং ফোন করে এই কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিসের মন্ত্রিসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে ব্রিটেনে, ইতিমধ্যে লকডাউন পর্যন্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে কোথাও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশে থেকে পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই নিয়েই কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে ব্রিটিশ সরকার মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে। বিগত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০,০০০ নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর ধরা পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে সংক্রামিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন দেশ ছেড়ে অন্য দেশে একেবারেই জাভার মনোভাব নেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। তবে শুধু ইউরোপের দেশগুলিতে নয়, সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। সব মিলিয়ে নতুন করে একটা আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। তবে স্বস্তির খবর এই যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।