উদয়পুর: বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করায় মঙ্গলবার দুপুরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে উদয়পুরের এক দর্জীকে। নুপুর শর্মাকে সমর্থন করায় একদল দুষ্কৃতী ওই দর্জির মূল্যচ্ছেদ করে হত্যা করে বলে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল গোটা দেশ। এর মধ্যেই জানা গেল উদয়পুরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে পাক জঙ্গি সংগঠন আইসিস। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে বিগত কয়েকদিন ধরেই ওই যুবক নাকি অজ্ঞাত পরিচয় কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রমাগত খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজস্থানের উদয়পুরে। সেই উত্তেজনার রেশ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। আর তাতেই বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় নির্দেশে উদয়পুরের এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তথা NIA। পাশাপাশি রাজস্থান সরকারের তরফ থেকেও গঠন করা হয়েছে সিট।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর উদয়পুরের ওই দর্জি কানহাইয়া লালকে হত্যার সঙ্গে জড়িত যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দাওয়াত ই ইসলামীর সদস্য। এমনকি বেশ কয়েক বছর ওই অভিযুক্ত পাকিস্থানে ছিল বলে খবর। সম্প্রতি একটি বাড়ি ভাড়া করে ওই অভিযুক্ত উদয়পুরে থাকা শুরু করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছে যে, ধৃত ওই অভিযুক্ত খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করার তালে ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, গোয়েন্দা দপ্তরের এই সন্দেহ প্রকাশের পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি এবং নিশ্ছিদ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই খুনিকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। ধানমন্ডি পুলিশ স্টেশনে সাব-ইন্সপেক্টরকেও কর্তব্যে গাফিলতির কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ মৃত ওই দর্জি নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট করার পরেই একাধিকবার ফোনে হুমকি পেতে শুরু করেছিলেন। সে বিষয়ে তিনি পুলিশকে ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর আর্জিতে সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে কানহাইয়া লালকে খুন করা হয়। তারপরই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে রাজস্থান পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি এই ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি খুন হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।