কটক: ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রথমে জানা গিয়েছিল, মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে উলটে যায় ট্রেনটি। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত যেন স্পষ্ট হচ্ছে দুর্ঘটনার কারণ। এই মুহূর্তে তৃতীয় একটি ট্রেন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মোট তিনটি ট্রেন পড়ছে এই দুর্ঘটনার কবলে। আর কোনও ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। তাহলে কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখোমুখি নয় পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে ট্রেনগুলি। আর মালগাড়ি এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়াও এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। মূলত ওই ট্রেন প্রথমে লাইনচ্যুত হয় এবং পাশের লাইনে থাকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। তাঁর সেই ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায় তারও পাশের ট্র্যাকে থাকা মালগাড়িতে। রেল কর্তাদের অনুমান, যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে করমণ্ডলের উল্টোদিক থেকে আসছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেস গতিতে চললেও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের গতি খুব বেশি ছিল না। তবে দুটি ট্রেন পাশাপাশি একে অপরকে অতিক্রম করার সময়, কোনও ভাবে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পুরীতে জলে নামলেই গায়ে তীব্র চুলকানি-লাল দাগ, পুরীতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা!” width=”853″>
অনুমান করা হচ্ছে, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পাশ থেকেই ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। সেই ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে যায় ওই ট্রেন এবং পাশের ট্র্যাকে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই অভিঘাত এতই বেশি ছিল যে মালগাড়িটির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। রেলের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দুটি ট্রেনের যা গতি ছিল তাতে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে কোনটিও একে অপরের ওপরে উঠে যেত না। তাই অনুমান, কোনও ট্রেনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগেনি। ধাক্কা লেগেছে পাশাপাশি। তবে, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কীভাবে লাইনচ্যুত হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় খবরাখবরের জন্য হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর- ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়্গপুর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর- ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর- ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর- ৯৯০৩৩৭০৭৪৬। নবান্ন- ০৩৩-২২১৪৩৫২৬/২২৫৩৫১৮৫।