পানাজি: বাংলা জয়ের পর অন্যান্য বিজেপি রাজ্যের দিকে পা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা এবং অসমে নিজেদের সংগঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার তাঁদের নজরে রয়েছে দেশের সবথেকে ছোট রাজ্য এবং ‘পার্টি ক্যাপিটাল’ গোয়া। সেখানেও মাটি শক্ত করার কাজে হাত দিয়েছে তৃণমূল, ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে গিয়েছে প্রতিনিধি দল এবং গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এবার গুঞ্জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার ডেনজিল ফ্রাঙ্কো এবং বক্সিং অফিসার লেনি দা গামা।
তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো জানিয়েছিলেন, বিজেপি দেশের ক্ষমতায় আসার পর নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে হোক, কিংবা অর্থনৈতিক নীতি, দেশকে তারা ৪৫ বছর পিছনে নিয়ে চলে গিয়েছে। এমনকি গোয়ার অবস্থাও খুব খারাপ হয়ে গেছে রাজনৈতিকভাবে হোক বা পরিবেশগতভাবে। এই একই রকম কথা শোনা গিয়েছে ফ্রাঙ্কো এবং গামার মুখেও। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের খেলাধূলার প্রতি মনোভাব নিয়ে তারা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। অন্যদিকে কংগ্রেসেরও খেলাধুলার প্রতি সমর্থন না থাকায় হতাশ তারা। তাই সম্ভাবনা, তারা দুজনেই আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে চার দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলে যোগদান করলেন গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী ও ৭ বারের বিধায়ক লুইজিনহো ফেলেইরো৷ অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বের সাত রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি৷ এদিন লুইজিনহো ফেলেইরোর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কংগ্রেসের আরও ১০ কংগ্রেস নেতা৷ তৃণমূল আগেই দাবি করেছিল যে, গোয়ায় তাঁদের দলে আরও অনেকে যোগ দেবেন। সেই দাবি হয়ত এবার হুবহু মিলে যেতে চলেছে। ওদিকে, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, গোয়ায় লড়াই করার জন্য তৃণমূল একাই যথেষ্ট। বিজেপির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে তারা এবং তাদের হারিয়ে ছাড়বে।