নয়াদিল্লি: কথায় বলে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ৷ করোনাও দেশবাসীর কাছে তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ করোনার আক্রান্ত হচ্ছেন যাঁরা তাঁদের সর্বনাশ, তবে বহু মানুষ একে কাজে লাগিয়ে রমরমিয়ে কালোবাজারি করছেন তাঁদের তো পৌষ মাস৷ গোটা দেশই যখন করোনা নামক অতিমারির করাল গ্রাসে ডুবে যাচ্ছে, তখন এক শ্রেণির মানুষ মুনাফা লোটার ধান্দায় কালোবাজারি করছেন৷ কখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্ল্যাক হচ্ছে, কখনও আবার হাসপাতালে বেড নিয়ে চলছে চরম নোংরামি, কখনও অ্যাম্বুলেন্সের বিপুল দর হাঁকছেন কর্মীরা। এবার অক্সিজেন সিলিন্ডারের বদলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রও বিপুল টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল৷
এবার দিল্লিতে ১০ হাজার টাকায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের নামে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ২ জন৷ দ্বারকা থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে ৫টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । দ্বারকার ডিসিপি সন্তোষ কুমার মেনন জানান, গ্রেফতার হওয়া দু’জন হলেন ১৯ বছরের অশুতোষ চৌহান এবং ২২ বছরের আয়ূষ কুমার । পুলিশের কাছে গীতা আরোরা নামের এক মহিলা প্রথমে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর এক আত্মীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে বেড না থাকায় ওই মহিলা অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে যান৷ তখনই ওই দুই অভিযুক্তর খপ্পরে পড়েন তিনি৷ অভিযুক্ত দু’জন অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য দাম চান ১০ হাজার টাকা৷ করোনা পরিস্থিতিতে নিজের প্রিয় মানুষটিকে বাঁচাতে তাতেই রাজি হয়ে যান অসহায় মহিলা৷ যদিও সিলিন্ডার মিললেও, মেলেনি অক্সিজেন৷ অক্সিজেনের বদলে করোনা রোগীর পরিবারকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে । অভিযোগ পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ আর এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিপুল হারে রমরমিয়ে কালোবাজারি চালাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ৷ সাধারণ মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছেন এঁরা৷ অথচ কোথাও কোনও লাগাম নেই৷