কেন্দ্রাপাড়া: কত অবাক করা ঘটনাই না ঘটছে বিশ্বজুড়ে৷ কখনও তিনটি পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মানো শিশুর খবর প্রকাশ্যে আসছে, কখনও আবার একই মহিলার শরীরে দু’টি যৌনাঙ্গ থাকার কথা জানা যাচ্ছে৷ যদিও সেগুলো সবই সুদূর বিদেশের ঘটনা৷ এবার দেশের মাটিতেই দু’টি মাথা নিয়ে জন্মে প্রচারের আলোতে এল একটি শিশু কন্যা৷ ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রবিবার এই বিরল শিশুটি জন্মায় ৷
সাধারণ সদ্যোজাতের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এই শিশুকন্যার শুধু দু’টি মাথাই নয়, সঙ্গে রয়েছে তিনটি হাত, চারটি চোখ, চারটি কান, দু’টি পা, দু’টি নাক ও দু’টি মুখ। শিশুর শরীরের পিছনেও একটি হাত দেখা গিয়েছে। রবিবার স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এক মহিলা এই শিশুটিকে প্রসব করেন ৷ সেখান থেকে তাড়াতাড়ি তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি এই মুহূর্তে শারীরিকভাবে সুস্থই রয়েছে৷ তবে চিকিৎসকরা আরও ভালো চিকিৎসার জন্য শিশুকন্যাকে কটকের শিশু ভবনে পাঠিয়েছেন ৷ কেন্দ্রাপাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক দেবাশিস সাহু বলেন, ‘সদ্যোজাতটি দু’টি মুখ দিয়ে খাচ্ছে এবং দু’টি নাক দিয়েই শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে৷ আসলে তিনটি হাত এবং দু’টি পা-সহ একটি শরীরে দু’টি সন্তান রয়েছে৷’
জানা গিয়েছে, শিশুর পরিবার কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজনগর থানার অন্তর্গত কানি গ্রামের বাসিন্দা ৷ উমাকান্ত পরিদার স্ত্রী অম্বিকা এই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এটি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। খুবই বিরল এই শিশুটি জন্মেছে খুবই গরিব চাষি পরিবারে৷ সদ্যোজাতর বাবা উমাকান্ত জানান, ‘আমরা প্রতিদিন একটু খাবার জোগাড় করি খুব কষ্ট করে৷ এই বিরল শিশুকন্যার চিকিৎসা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব৷ আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি আমাদের সাহায্য করার জন্য৷’ ওড়িশার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা এখন সেখানকার সরকারকে অনুরোধ করছেন তাঁদের কন্যাটির বিরল চিকিৎসার জন্য অর্থিক সাহায্য করতে৷ যদিও সরকারের তরফে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি৷