নয়াদিল্লি: ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি কৃষক আন্দোলনের আবহে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। আর সেই উত্তাপের অনিবার্য প্রতিফলন ঘটছে দেশের বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম ট্যুইটারে। ট্যুইটারে সরকার বিরোধী মন্তব্য এবং সংস্থার নির্দিষ্ট নিয়মাবলীর মধ্যে সংঘর্ষ বেশ কিছু দিন ধরেই মাথা চারা দিয়ে উঠছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়ে চলছে বিতর্কও। এই আবহেই সামনে এল এক বড়সড় ঘটনা।
ভারত সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন এ দেশের ট্যুইটার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর মহিমা কল, এদিন এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। শুধু তাই নয়, ট্যুইটারের তরফ থেকে সরকার সমন্ধীয় পদের জন্য নতুন আবেদনও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিনের এক লিঙ্কেডিন বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্যটি পরিষ্কার হয়েছে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি মহিমা কল। তবে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে সাম্প্রতিক মতানৈক্যের ফলেই এই পদত্যাগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ট্যুইটারের তরফ থেকে মহিমা কলের পদত্যাগের সংবাদ নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি ভারত সরকারের তরফ থেকে ২৫০টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট এবং পোস্ট আপত্তিকর প্রচারের জন্য বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ট্যুইটার তা করতে অস্বীকার করে। তার জেরেই শুরু হয় বিবাদ। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো আমেরিকান সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম গুলির সম্পর্ক যে মোটেই ভালো নয়, তা সহজেই অনুমেয়।
বস্তুত, এদেশে শুধুমাত্র সাধারণ জনগণই নয়, প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যই ব্যবহার করেন ট্যুইটার। ট্যুইটারকে তাঁরা জনসংযোগের এক অন্যতম হাতিয়ার হিসেবেও মনে করেন। ভারতে ট্যুইটারের বাণিজ্যিক লাভের পরিমাণ বিপুল। কিন্তু সম্প্রতি দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভ ও তার আলোড়ন ট্যুইটারে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে আভ্যন্তরীণ হিংসা ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে সরকার।