নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত করেছে দিল্লির পরিস্থিতি। কিন্তু গতকাল দেশের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজধানী, দেশের নানা প্রান্ত থেকেই তার বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কৃষকদের সেই হিংসাত্মক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল ট্যুইটারও।
২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে অশান্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ৫৫০ টি অ্যাকাউন্ট বরখাস্ত করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ, এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। শুধু তাই নয়, ট্যুইটারের দেওয়ালে হিংসায় ইন্ধন দেওয়া বেশ কিছু পোস্টকে চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনাই-এর কাছে ট্যুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষমূলক কথোপকথন ট্যুইটারের প্লাটফর্মে রদ করার জন্য আমরা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি। যা কিছু আমাদের নির্দিষ্ট নিয়ম বিধি ভঙ্গ করেছে, সেসবকেই আমরা বাতিল করে দিয়েছি।”
মূলত জনগণের পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করেই শতাধিক ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। “প্রযুক্তি এবং মানুষের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই ট্যুইটার তার কাজ করেছে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে ট্যুইটারের নিয়ম বিধি ভাঙা হয়েছে, তেমন সাড়ে পাঁচশোরও বেশি অ্যাকাউন্টকে সাসপেন্ড করা হয়েছে”, বলেন ট্যুইটারের মুখপাত্র। কৃষক আন্দোলনের উত্তপ্ত আবহে পরিস্থিতির দিকে কড়া ও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ট্যুইটার। শুধু তাই নয়, যে কোনো রকম হিংসাত্মক মনোভাবের বিরুদ্ধেই রিপোর্ট করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে।
প্রসঙ্গত, কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে গতকাল আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের মুহুর্মুহু সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় রাজধানী। নির্ধারিত সময়ের আগেই একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে রাজপথে ঢোকেন কৃষকরা। তাঁদের গন্তব্য ছিল লালকেল্লা। সেখানে গিয়ে নিজেদের পতাকা তোলেন তাঁরা। পুলিশের তরফ থেকেও নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে টিয়ার গ্যাস, বাদ যায় না কিছুই।