নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া আইটি নীতি নিয়ে উদ্বেগে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার৷ সোমবার টুইটারের নয়া দিল্লির অফিসে সংস্থার ভারতীয় প্রধানকে একটি নোটিশ দিতে যান দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা৷ ‘টুলকিট’ ইস্যুতে শাসক বিজেপি ও বিরোধীদের মধ্যে একটি টুইট নিয়েই এই পদক্ষেপ৷ এর পরেই আজ একটি বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটার কর্তৃপক্ষ৷ তাঁরা জানান, মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর যে ভাবে হুমকি আসছে, তাতে তাঁরা উদ্বিগ্ন৷
আরও পড়ুন- বেনজির আক্রমণ! রাহুল গান্ধীকে ‘শকুন’ বলে তোপ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিন টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘টুইটার ভারতের জনগনের প্রতি গভীর ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ মহামারী পরিস্থিতিতে জনসাধারণের কথোপকথনের জন্য এবং মানুষের সহায়তার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে৷ আমাদের পরিষেবা উপলবদ্ধ রাখার জন্য ভারতে প্রযোজ্য আইন মেনে চলার চেষ্টা করব৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে সারা বিশ্বের মতো এখানেও স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে সমস্ত নীতি পালন করা হবে৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা আইনি পথে রক্ষা করা হবে৷’’
সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে কর্মরত সকল কর্মীর জন্যেও উদ্বিগ্ন টুইটার কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থার মুখপাত্র বলেন, বিশ্বজুড়ে যে শর্তে পরিষেবা দিয়ে থাকি, তার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভারতে যে ভাবে পুলিশি হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন৷ পাশাপাশি মানুষের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য হুমকি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়৷
আরও পড়ুন- গাড়ি চালিয়ে মেয়ের দেহ শ্মশানে নিলেন বাবা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক বিজেপি নেতা একটি নথির কিছু অংশ টুইটারে শেয়ার করেছিলেন৷ কিন্তু বিজেপি’র দাবি, করোনা মোকাবিলায় ভারত সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে এই কাজ করেছে বিরোধী কংগ্রেস৷ ওই নথি সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ এর পরই টুইটার ওই পোস্টগুলিকে ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া বলে মার্ক করে টুইটার৷ অন্যদিকে, ভারতে কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত টুইটগুলি ব্লক করে দিয়ে বলে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্ত মন্ত্রক৷ এর পর থেকে শুরু হয়েছে টুইটারের সঙ্গে ভারত সরকারের দড়ি টানাটানি৷ ভারত সরকারের নয়া আইটি নীতিরও সমালোচনা করেছে টুইটার৷