নয়াদিল্লি: শেষ মুহূর্তের মহড়া। আমেদাবাদ সেজে উঠেছে 'নমস্তে ট্রাম্প'-কে ঘিরে। এদিকে ভারতসফর নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়ও। যদিও এই সফরের মাধ্যমে দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে জোয়ার আসবে বলেই রব উঠেছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতেও ভারতসফর নিয়ে কেন উৎসাহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট? নেপথ্যে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
চলতি বছরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই। সেই কারণেই কি ভারতসফরের সিদ্ধান্ত? কেউ কেউ ভোটের রাজনীতিকেই দেখছেন এই সফরের আড়ালে। নইলে নির্বাচনের আগেই বা কেন সফরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তাছাড়া পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বের বহু দেশই যেখানে ট্রাম্পের বিরোধিতায় সরব, সেখানে ভারতের ৫৬ শতাংশ মানুষ পছন্দ করেন তাঁকে। এদিক থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে নির্বাচনের প্রাক-মুহূর্তে এই সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চাইবেন না, বলা বাহুল্য। তাছাড়া নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, এই মুহূর্তে আমেরিকার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এই পরিস্থিতিতে 'শত্রুর শত্রু আমার মিত্র' ফরমুলা কাজে লাগাতে চাইছেন ট্রাম্প। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, এমনই অভিমত জনগণের একাংশের।
গত দু'দশকের বেশি সময় থেকে ভারতকে সমীহই করছে আমেরিকা। তাছাড়া 'হাউডি মোদী' অনুষ্ঠানে ভারতকে 'সেরা বন্ধু' বলে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ভারতের থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার পায়নি আমেরিকা, এমনও আক্ষেপ শোনা গেছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে। অন্যদিকে গত বছরেই শুল্ক ছাড়ের তালিকা থেকে ভারতের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনাকে এদেশের প্রতি ট্রাম্পের বিরূপ মনোভাবের বিষয়টিকেও সামনে এনেছে। নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সন্ধে নামার মুখে এই সফর আদতে 'ট্রাম্প কার্ড' নয় তো? যদিও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল 'ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে। তবে সেটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাকছে।' ভবিষ্যৎ মানে? নির্বাচনে জেতার পর? প্রশ্ন উঠছেই।