বরসাদ: গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই কয়লা মাফিয়াদের হাতে খুন হন হরিয়ানার ডিএসপি সুরেন্দ্র সিং। তার ঠিক কয়েক ঘন্টা পরেই বুধবার কাকভোরে কর্তব্যরত অবস্থায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় রাঁচির এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল গুজরাটে। জানা যাচ্ছে বুধবার দুপুরে গুজরাটের বরসাদে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ কনস্টেবলের। গত ২৪ ঘন্টায় পরপর তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারালেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাট তো বটেই সমগ্র দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
জানা যাচ্ছে বুধবার দুপুর একটা নাগাদ বরসাদের জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত ছিলেন কনস্টেবল কিরণ রাজ। জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রাকগুলির ওপর তখন নাকা চেকিং চলছিল। হঠাৎই রাজস্থানের নম্বর প্লেট লাগানো একটি ট্রাককে দেখে সন্দেহ হয় কনস্টেবল কিরণের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাত দেখিয়ে ট্রাপটিকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ আধিকারিককে এগিয়ে আসতে দেখেই ট্রাকের গতি বাড়ায় ট্রাক চালক। শেষে ওই কনস্টেবলের উপর দিয়েই ট্রাকটি চালিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালায় ওই ঘাতক চালক। ট্রাকের চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিরণ রাজের। তবে ঠিক কি কারণে পুলিশকে দেখেই ওই ট্রাক তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল থেকে পালায় তা এখনো জানা যায়নি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বরসাদের আনন্দের ডিএসপি অজিত আর জানিয়েছেন, ট্রাক চালককে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। খুব শীঘ্রই চালককে গ্রেফতার করা হবে। এর আগে বুধবার সকালে রাঁচিতে এই একইভাবে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর সন্ধ্যা টপনোর। তিনিও একইভাবে একটি গাড়ীকে হাত দেখিয়ে দাড় করাতে গেলে গাড়িটি তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গাড়ি ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সন্ধ্যার।