আগরতলা: আশঙ্কায় সত্যি হল৷ গত শনিবার তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের ওপর গেরুয়া শিবিরের হামলার পর থেকেই ত্রিপুরা রাজ্যের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে জোড়াফুল৷ এবার সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে শুরু হল দল বদলের হিড়িক৷ লক্ষ্মীবারে সিপিআইএম, বিজেপি, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী সমর্থক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতৃত্বও রয়েছেন৷
বুধবার থেকেই ত্রিপুরায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরার মানুষ শান্তি চাইছেন৷ তাঁরা এই দুর্বৃত্তের সরকারের হাত থেকে রেহাই চায়৷ তাই দলে দলে মানুষ তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিপ্লব দেবের পুলিশ সাধারণ মানুষের ওপর যত অত্যাচার নামিয়ে আনবেন, মানুষ তত বেশি করে তৃণমূলের পতাকাতলে আসবেন৷’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বাংলার পাশাপাশি ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করা হবে ত্রিপুরাতেও।
দলীয় সূত্রের খবর, ওইদিনই ত্রিপুরা যাবেন তৃণমূলের আক্রান্ত তিন ছাত্র যুব নেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্ত। গত শনিবার ত্রিপুরার মাটিতে আক্রান্ত ছাত্রনেতারা ফের ত্রিপুরা সফরে গিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে কি বার্তা স্পষ্ট করেন তা নিয়ে আপাতত চড়ছে রাজনৈতিক পারদ৷ এদিকে ‘খেলা হবে দিবস’ পালন ঘিরে উদ্দীপনা বাড়ছে ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্দরেও৷
বাংলা সুরক্ষিত করার পর দিদির নজরে যে দিল্লি তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট৷ তাই শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে দিল্লি সফরও সেরে এসেছেন নেত্রী৷ এদিকে সামনের বছর ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ স্বভাবতই, এখন তৃণমূলের পাখির চোখ বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা। আর তাই এবার সেখানেও শহিদ দিবস পালনের উদ্যোগ৷ তবে শুধু ত্রিপুরা নয়, যোগী-রাজ্য হিসেবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজধানী দিল্লি সর্বত্রই খেলা হবে দিবস পালনের তৎপরতা শুরু হয়েছে জোড়াফুলের অন্দরে৷