আগরতলা: ইন্টারনেট, হাইটেকনোলজির যুগে অপরাধীকে খুঁজে বের করার কাজটা খুব একটা কঠিন নয় পুলিশের কাছে। কিন্তু, খোয়া যাওয়া রাইফেল খুঁজতে গেলে কি করতে হবে? তা হয়ত অনেকেরই অজানা! সেই পথ দেখাল ত্রিপুরা পুলিশ!
খোয়া যাওয়া হাতিয়ার বা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য কোনও দৌড় ঝাঁপ বা তল্লাশি নয়; বরং কুসংস্কারের সাহায্য নিল ত্রিপুরা পুলিশের একটি অংশ। হারিয়ে যাওয়া রাইফেলের খোঁজে বহুল প্রচারিত কুসংস্কার ‘বাটি চালানের’ সাহায্য নিল পুলিশ।
কুসংস্কারের বশে যেখানে একজন মাঠের মধ্য অনবরত থালা ঘুরিয়ে চলেছেন আর অন্ধের মতো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছেন উর্দিধারীরা! লজ্জার এই ছবি সোনার ত্রিপুরার। ত্রিপুরার গোমতী জেলার অম্পি বাজারে রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মী সুবরিয়েল উচুই চেচুয়া যাত্রী শেডে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর সেই ফাঁকেই খোয়া যায় তার এসএলআর রাইফেল। ঘুম থেকে উঠেই সঙ্গে থাকা রাইফেল উধাও দেখে থানায় জানান তিনি।
আর সেই রাইফেল খুঁজতে স্থানীয়দের নিয়ে বাটি চালানের ব্যবস্থা করে পুলিশ। যদিও ক্যামেরা দেখতেই মুখে কুলুপ আঁটে পুলিশ! সামাজিক কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস দূর করার দায়িত্বে যেখানে পুলিশের উপরে বর্তায়, সেখানে বিপ্লব দেবের রাজ্যে পুলিশের ব্যতিক্রমী ছবি! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ রাইফেলের কোনও খোঁজ মেলেনি।