তৃণমূল-বিজেপির তাণ্ডব: রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, পাল্টা দিলেন মমতা

নয়াদিল্লি: পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা শেষে বাস-গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ মঙ্গলবার বিকালের এই ঘটনা কথা জনতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ কেন অমিত শাহের সভা শেষে অশান্তি তৈরি হল, তা জনতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে

d997d36939377afd1fc3fd85441b53dd

তৃণমূল-বিজেপির তাণ্ডব: রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, পাল্টা দিলেন মমতা

নয়াদিল্লি: পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা শেষে বাস-গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ মঙ্গলবার বিকালের এই ঘটনা কথা জনতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ কেন অমিত শাহের সভা শেষে অশান্তি তৈরি হল, তা জনতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর৷ এদিন রাজনাথের ফোন পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফোনেই জানিয়ে দেন, ‘‘আপনি আপনার দলকে সামলান৷ বাকিটা আমি বুঝে নিচ্ছি৷ খবর নবান্ন সূত্রে৷

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ নিয়ে মন্তব্যের জেরে অমিত শাহকে নোটিস পাঠাল তৃণমূল৷ মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এবিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দপ্তরে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ সেখানে বলা হয়েছে, ছবি বিক্রি নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন তিনি৷ হয় মন্তব্যের সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিন নতুবা ক্ষমা চান বলে দাবি করা হয়েছে নোটিসে৷ তা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চন্দ্রিমা৷

পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা শেষে বাস, গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ৷ ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে৷ ভাঙচুরের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে খড়্গপুর বাইপাস৷

ঘটনার সূত্রপাত, আজ বিকেলে৷ অভিযোগ, সভা শেষে বিজেপির কর্মীরা স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বিজেপির কর্মীরা৷ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিস৷ এই ঘটনার পাল্টা হিসাবে তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূল৷ সভায় আসা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গাড়িগুলি ১১৬ বি জাতীয় সড়কের পাশে রাখা বাস ও ট্রেকার ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মীরা৷ স্থানীয় তৃণমূলের মদতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির৷ মুকুল রায় জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক ভাবে শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে৷ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করা জন্য নিজেরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে৷

এদিনের হামলার দায় উড়িয়ে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভান্দু অধিকারী৷ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘কোনও হামলা হয়নি৷ এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল৷ কারণ, আমরা বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করব৷ অমিতের সভাস্থলেই ফের আমরা সভা করে তার জবাব দেব৷ দেখে নেবেন, বিজেপির থেকে আমাদের সভায় বেশি ভিড় হবে৷’’ এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী৷

মালদহের পর কাঁথি, বাংলায় ফের লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে সিন্ডিকেটকেই হাতিয়ার করেন অমিত শাহ। এদিন কাঁথির জনসভা থেকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, মমতার সরকার যতই রোখার চেষ্টা করুক, বিজেপি বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনতে পারেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদি,তাই তাঁকে ফের প্রধানমন্ত্রী করে আনুন।

এদিনের জনসভায় তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই জন সমর্থন ধরে রাখতে বিজেপির প্রচার বন্ধ করতে চাইছেন, কাঁথিতে বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি আটকাননি এডিএম,তাই তাঁকে গতরাতেই অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে ভয়দেখানো হচ্ছে, বিজেপিকে এভাবে রোখা যাবে না। মমতার সরকার কেন্দ্রের জনকল্যাণকর প্রকল্পগুলি রাজ্যের বলে চালাচ্ছে। গরিবদের জন্য ২টাকা কিলো দরের চাল কেন্দ্রের প্রকল্প,অথচমমতা বলছেন তিনি এটি চালু করেছেন, একইভাবে খাদ্যসাথী,কন্যাশ্রী সবই কেন্দ্রে শুধু নাম পাল্টে নিজের কৃতিত্ব জাহির করছেন মমতা। বাংলার অবস্থা শোচনীয়, একসময় ভারতের গতিবিধি ঠিক করত বাংলা আজ তা অতীত। প্রবাসী বাঙালিরা সোনার বাংলাকে খুঁজে ফিরছেন। সেই সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনতে চাইলে দুই মেদিনীপুরে পদ্ম ফোটান, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, চৈতন্যদেবের বাংলাকে বোমারকারখান বানিয়েছেন মমতা, হিন্দু শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে চান মোদি তাই নাগরিকত্ব বিল এনেছেন। মমতা তাতে সমর্থন জানাননি, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন সমস্ত অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া যাবে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে সেই হিন্দুত্বের তাসই খেললেন অমিত শাহ। সরস্বতী পুজো, দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে একহাত নিলেন। এরাজ্যে কিছু করতে গেলেই ঘুষ লাগে, সিন্ডিকেটকে ঘুষ দিতে হয়। এথেকে বাঁচতে হলে নরেন্দ্র মোদির হাত ধরুন। এদিকে মশাটে তৃণমূলকে দুর্নীতির সরকার বললেন বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহ। তিনি বলেন, তৃণমূল কেলেঙ্কারির সরকার এদের উপড়ে ফেলতে হবে। নাহলে ভারতকে পাকিস্তান বানিয়ে দেবে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *