সোনভদ্র: জমি বিবাদকে ঘিরে রণক্ষত্র হয়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে যাওয়ার পথেই থমকে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ল তৃণমূূলের প্রতিনিধি দল৷ বারাণসী বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে৷ সোনভদ্রে মৃত দলতি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের৷ প্রতিবাদে বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ৷ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও রাজ্যসভার সাংসদ আবির বিশ্বাস৷ ডেরেক জানান, বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের আটক করা হয়৷
ডেরেকের জানিয়েছেন, ‘আমরা হাসপাতালে আক্রান্তদের দেখতে যেতে চাই৷ একইসঙ্গে সোনভদ্রে যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও যাব বলে জানিয়েছি৷ কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন যেতে না দিয়ে আটকে রেখেছে৷’’ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সকলেই বিমানবন্দরেই বসে পড়েছেন৷
Trinamool Congress (TMC) delegation sit on a dharna at Varanasi airport, after they were stopped by police at the airport. They were on their way to meet the victims of Sonbhadra’s firing case. pic.twitter.com/MS86BGTQDX
— ANI UP (@ANINewsUP) July 20, 2019
Derek O’Brien, TMC at Varanasi airport: ADM & SP have told us that we’ve been detained. We’ve told them that it can’t be Sec-144 (prohibits assembly of more than 4 people)as only 3 of us are here. We intend to proceed to BHU Trauma Centre to meet the injured&then go to Sonbhadra. pic.twitter.com/jXdYI3CD4T
— ANI UP (@ANINewsUP) July 20, 2019
অন্যদিকে, রাতভর পুলিশি হেফাজতে থাকার পর গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেও বাধা প্রিয়াঙ্কাকে৷ সোনভদ্রে ঢুকতে দেওয়া না হলেও মৃতের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে এলেও বাধা দেয় পুলিশ৷ পরে প্রিয়াঙ্কার তীব্র প্রতিবাদে পিছু হটে পুলিশ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে শেষমেষ কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা৷ গাছেন নীচে মাটিতে বসে মৃত ১১ দলিত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি৷
গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত ১১ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রিয়ঙ্কা৷ কিন্তু, মাঝপথে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ৷ ১৪৪ ধারা জারি থাকার অছিলায় পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি৷ চলে ধর্না৷ পরে বিশাল পুলিশ গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গ্রেপ্তার করে৷ কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, তিনি ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন না করে তিন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চান৷ কিন্তু, তেও আপতি তোলে পুলিশ৷ পরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে একটি গেস্ট হাউসে রাখার ব্যবস্থা করে৷ পরে, আজ সকালে ফের ঘটনাস্থলে যাওয়ার দাবি তোলেন তিনি৷ কিন্তু, তাঁকে ফের আটকে দেওয়া হয়৷ পরে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে আসেন৷ সেখানেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়৷ পরে, রাস্তায় বসে পড়তেই পিছু হটে পুলিশ৷ সেখানেই মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন প্রিয়াঙ্কা৷
গত বুধবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত তিন মহিলা সহ ৯৷ আহত হন ১৯ জন৷ ঘটনাস্থল সোনভদ্র জেলার ঘোরাওয়াল অঞ্চলের সপাহি গ্রাম৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে জমি ঘিরে একটি বিবাদ চলছিল৷ দু’বছর আগে ওই গ্রামে ৯০ বিঘা জমি কিনেছিলেন গ্রাম প্রধান যজ্ঞ দত্ত৷ গত বুধবার সেই জমির দখল নিতে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন৷ এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়৷ অভিযোগ, এরপরই অপর পক্ষের দিকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে গ্রামপ্রধান ও তার দলবল৷ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়৷
গোটা ঘটনায় আদিত্যনাথ প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷