কলকাতা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্যেই মৃত্যু হল ৯ জনের৷ আহতের সংখ্যা ২৪৷ এই ঘটনায় পুলিশের দিকেই অভিযোগের তীর৷ যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ৷ এদিকে রবিবার পরিস্থিতি পরিদর্শনে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছে তৃণমূলের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল৷
দীনেশ ত্রিবেদীর প্রতিনিধিত্বে দলে থাকছেন প্রতিমা মন্ডল, নাজিমুল হক ও আবীর বিশ্বাস৷ নিহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা৷ রবিবার প্রথমে লখনউ পৌঁছনোর কথা আছে দলের৷ শুক্রবার ১৪৪ ধারা অমান্য করেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার মানুষ৷ রাজ্যের ১৩ টি জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঝড় ওঠে৷ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে৷ কানপুর, ফিরোজাবাদ, গোরক্ষপুর, দেওবন্দ, মোজাফফরনগর, বুলন্দশহর, মিরাট, হাপুর, শামলি সহ আপাত শান্ত একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু হয়৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায়৷ বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ শুক্রবার থেকেই লখনউয়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে সাম্ভাল, আলিগড়, গাজিয়াবাদ, আজামগড় ও বেরিলি সহএকাধিক জেলায়৷ অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শনিবার বিহারে বনধ ডাকে আরজেডি৷ বনধের সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস৷ বনধের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হন আরজেডির সদস্যরা৷ বনধের রাজ্যে মিশ্র প্রভাব পড়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায় রেল ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেছে৷