বিপর্যয় রুখতে বাংলা-সহ ৩ রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ ফনির অভিমুখ পরিবর্তনের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ক্যাবিনেট সচিব প্রদীপ সিনহা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। চারটি রাজ্যকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে চারটি রাজ্যের জন্য আগাম ১০৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা

বিপর্যয় রুখতে বাংলা-সহ ৩ রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ ফনির অভিমুখ পরিবর্তনের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ক্যাবিনেট সচিব প্রদীপ সিনহা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। চারটি রাজ্যকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে চারটি রাজ্যের জন্য আগাম ১০৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছে কেন্দ্র।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও তামিলনাড়ুর ‘স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ডে’ মোট এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, কেন্দ্র দিন কয়েক দিন আগেই বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্যের বকেয়া ১৭৬ কোটি টাকা দিয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্য সরকারের পক্ষে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালা যোগ দেন। এরপরেই নবান্নে মুখ্য‌সচিব মলয় দে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা, সেচ, কৃষি, উপকূল রক্ষী বাহিনী সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷

কলকাতা সহ আটটি জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে যাওয়া মৎস্যজীবীদের বুধবারের মধ্যে ফিরে আসার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। উপকূল এলাকায় যাওয়া পর্যটকদের বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থান খতিয়ে দেখে কাল, বৃহস্পতিবারও নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। প্রয়োজনে উপকূল সংলগ্ন অঞ্চল থেকে এলাকাবাসীকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফনি আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রেক্ষিতে পূর্বাঞ্চলীয় নৌ-কমান্ড প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে। নৌ-বাহিনীর একাধিক জাহাজ সর্বাধিক প্রভাবিত জায়গাগুলিতে মানবিক সহায়তা, উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশাখাপত্তনম ও চেন্নাইয়ে প্রস্তুত রয়েছে। বাহিনীর জাহাজগুলিতে অতিরিক্ত নাবিক ও চিকিৎসক সহ ছোট নৌকা, ত্রাণ সামগ্রী যেমন- খাবার, পোশাক, ওষুধপত্র, চাদর প্রভৃতি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করা হয়েছে। এছাড়াও, ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে সহায়তার পাশাপাশি নৌসেনা বিমান ঘাঁটিগুলিতে একাধিক যুদ্ধ বিমানকে অনুসন্ধান, হতাহতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা, আকাশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিক্ষেপ প্রভৃতি কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।পূর্বাঞ্চলীয় নৌ-কমান্ড বঙ্গোপসাগরের পরিস্হিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে। নৌ-বাহিনীর আধিকারিকরা ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য-প্রশাসনগুলির সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =