আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গ্রেফতারি এবং তাদের ওপর হামলার ঘটনার আঁচ এবার গিয়ে পড়তে চলেছে রাজধানী দিল্লিতে। জানা গিয়েছে সংসদ ভবন চত্বরে আগামীকাল ধর্নায় বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবে তৃণমূল সাংসদরা, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের তরফে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরায় যেভাবে দলীয় কর্মী এবং নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে তা আসলে গণতন্ত্রের ওপর হামলা। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে অশান্ত করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আগামীকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ধর্নায় বসতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ লোকসভা এবং রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ একসঙ্গে সংসদ ভবন চত্বরে, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চলেছেন। অর্থাৎ এই ভাবে ত্রিপুরার ঘটনাকে জাতীয় স্তরে তুলে আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে আজ আবার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ওপর হামলা হয়। হামলা করা হয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িতে। তিনিও গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে আবার জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি আরো বেশী উত্তপ্ত হওয়ার কারণে এবার খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যেতে পারেন।
আরও পড়ুন- সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ধর্ষণের সমান, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের
আজ ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি৷ অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। এর আগে তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছিল, তারপর আজ আবার তাঁকে ঘিরে উত্তাল হয় পরিবেশ। এমনকি এই জানা গিয়েছে যে, অভিষেকরা যে থানায় রয়েছেন অর্থাৎ খেয়াই থানা, সেটা ঘিরে রেখেছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গ্রেফতার হওয়া সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে সেখানে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরা৷ এদিকে আবার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।