নয়াদিল্লি: গতকাল আচমকা নাটকীয় ভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী। এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে এবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় প্রথমেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কিভাবে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেন দীনেশ ত্রিবেদী। পাশাপাশি তাঁর ইস্তফা কতটা বিধিসম্মতভাবে দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারেও ধোঁয়াশা রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দেবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও বিদ্রোহী বিধায়ক! সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিশ্বজিৎ
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে দীনেশ ত্রিবেদী তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এই পদত্যাগ কতটা বিধি সম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুখেন্দু শেখর রায় স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, বাজেট বা অন্য কোনো ইস্যুতে বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় থাকে প্রত্যেকটি দলের। কিন্তু দীনেশ ত্রিবেদী সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেয়েছেন এবং তিনি সম্পূর্ণ অন্য বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন একেবারে নজিরবিহীন ঘটনা। তাই তার পদত্যাগ নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনি আরো জানিয়েছেন, দলের নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি বক্তব্য রাখতে চায় তাহলে তাঁকে রাজ্যসভার দলের নেতার থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে দীনেশ ত্রিবেদী সেই নিয়ম পালন করেননি। সব মিলিয়ে এখন দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ ঘিরে নতুন চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: ‘অবাক নই’, দীনেশের ইস্তফা প্রসঙ্গে রাজীব, বৈশালীর নিশানায় সেই ‘উইপোকারা’
এই ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত৷ দীনেশবাবু আগে দলের কাউকে পদত্যাগ করার কথা জানাননি৷ গত রবিবারও ওঁর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলাম৷ তখনও উনি ওঁনার অসন্তোষের কথা বলেননি৷ কোনও ভাবেই দলকে কিছু বুঝতে দেননি৷ উনি ইস্তফা দেবেন কেউ বুঝতে পারেনি৷ তবে দু’একজনের কাছে ক্ষোভ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল৷’’ এদিকে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তাঁকে কার্যত একহাত নিয়েই মন্তব্য করে বলেন, ‘‘এদিন রাজ্য সভায় নজির বিহীন ভাবে সময় শেষ হওয়ার পরেও ওঁনাকে বলতে দেওয়া হয়েছে৷ এটা বিস্ময়কর৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর দিদির পায়ে এসে বলেছিলেন আমাকে উদ্ধার করুন৷ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ তাঁকে উদ্ধার করে রাজ্যসভায় পাঠানো হল৷ এখন ফের বলছেন দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ এত ঘন ঘন দমবন্ধ হয়ে গেলে মুশকিল৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাকি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য দলত্যাগ করলেন, সেটা উনিই জানেন৷’’