নয়াদিল্লি: একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধর্না শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে রাজঘাটের সামনে ধর্নায় বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য তৃণমূল নেতারা। অভিষেকের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ শীর্ষ অনেক নেতা-নেত্রীদের। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে কালো প্ল্যাকার্ড।
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য বাকি নেতারা রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানান। তারপর নির্ধারিত সময়ে তাদের ধর্না শুরু হয়। দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং একশো দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’ জব কার্ড হোল্ডাররা সকালেই একাধিক বাসে করে পৌঁছেছেন দিল্লিতে। তাঁদের জন্য অম্বেডকর ভবনে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ওখান থেকেই সকলে কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাজ্যের ‘প্রাপ্য’ টাকার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এবং দ্রুত টাকা মঞ্জুর করার দাবি তুলে একাধিক পোস্টার তৈরি করে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আপাতত শান্তিপূর্ণ ধর্না আন্দোলন হলেও পুলিশের ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক শিবির।
আসলে সোমবার সাত সকালে অম্বেডকর ভবনে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। ক’টি বাস এসেছে, ক’টি বাস আরও আসবে, দিল্লিতে আসা কর্মী-সমর্থকদের দেখভালের দায়িত্ব কারা সামলাচ্ছেন, সেই সব খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে৷ এতেই চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। যদিও প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি৷ প্রসঙ্গত, আজকের পর মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে রয়েছে দলের কর্মসূচি৷ এর জন্য দিল্লি পুলিশের কাছেও অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই অনুমতি মিলেছে। কিন্তু বিকল্প বন্দোবস্ত করে রাখতে চাইছে দল৷