কলকাতা: হঠাৎ করে হলটা কী! বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর দিল্লি গিয়ে একাধিক বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই উদ্যোগ ছিল বিজেপি বিরোধী শক্তি আরো সঙ্ঘবদ্ধ করা। সেই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, দিল্লিতে ২১ জুলাই পালনের মাধ্যমেও বিরোধী জোট শক্ত করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে। তবে তারপর থেকে হঠাৎ যেন সব অংক পাল্টে গেছে। এখন সুযোগ পেলেই জাতীয় কংগ্রেসকে খোঁচা দিচ্ছে তৃণমূল।
সম্প্রতি নিজেদের মুখপত্রে কংগ্রেস এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীর কড়া সমালোচনা করেছিল ঘাসফুল শিবির। উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়েও কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, যিনি যুক্ত রয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গেই। এবার ছত্রিশগড় ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করল ঘাসফুল। একইসঙ্গে নিশানা করা হয়েছে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে। সম্প্রতি ভূপেশ দল ভাঙানো নিয়ে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, এবার তারই পাল্টা দিল মমতা বাহিনী। তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে লেখা হয়, ‘প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এক নেতার কাছ থেকে এত বড় বড় কথা শোনা যাচ্ছে। নিজের ওজন না বুঝে এই সব কথা বললে সম্মান পাওয়া যায় না। তাহলে কি অমেঠিতে ঐতিহাসিক পরাজয়ের কথা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় কংগ্রেস নতুন টুইটার ট্রেন্ড শুরু করল?’
উল্লেখ্য, ভূপেশ বাঘেল এর আগে টুইটারে তৃণমূল এবং প্রশান্ত কিশোরকে তোপ দেগে লিখেছিলেন, ‘আমাদের দলে থেকে যাঁরা নিজেদের আসনে জিততে পারেননি, তাঁদের ভাঙিয়ে জাতীয় বিকল্প গড়ার কারিগররা খুব হতাশ হবেন। জাতীয় বিকল্প হতে গেলে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। কিন্তু এর কোনও দ্রুত সমাধান নেই।’ এদিকে, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কথায়, রাতারাতি উত্তরপ্রদেশ সফর করলে কংগ্রেসের ভাবমূর্তির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না এবং সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সমস্যার সংক্ষিপ্ত কোনো সমাধান নেই।