নয়াদিল্লি: চেয়ারম্যানের নির্দেশ ক্রমাগত অমান্য করার অপরাধে সংসদ থেকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে। কিন্তু তার পরেও তারা রাজ্যসভায় ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয় এবং গোটা ঘটনায় সংসদের কাচ ভেঙে গিয়েছে এবং একই সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি! গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আরো বড় শাস্তি পেতে পারেন বলে অনুমান।
অভিযোগ উঠে আসছে, গতকাল সাসপেন্ড হওয়ার পরেও সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই সময়ে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের। পরবর্তী ক্ষেত্রে সংসদের কাঁচ ভাঙ্গে এবং নিরাপত্তা কর্মীরা আহত হন বলে খবর। এই ইস্যুতে আসরে নেমেছে রাজ্যসভার সচিবালয়। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। যদি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে কড়া শাস্তি পেতে পারেন তারা। তবে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, বুধবারের অধিবেশনের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল কিন্তু অধিবেশন শেষে হবার পরে তারা রাজ্যসভায় ঢুকতেই পারেন। তখন তাহলে তাদের কেন বাধা দেওয়া হবে, এই প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের
প্রসঙ্গত, গতকাল সকাল থেকেই একাধিক প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এই সাংসদরা। চেয়ারম্যান বারবার তাঁদের অনুরোধ করে নিজের জায়গায় গিয়ে বসার জন্য কিন্তু তারা শোনেননি। ক্রমাগত চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করার ফলেই তাদের এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। ছয় জন সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম বেনজির নূর। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বেশ কয়েকটি বিল পাস করার অভিসন্ধি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এবং সেই কারণেই তাদের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ বিগত কয়েক দিন ধরেই এই বিল পাস এবং পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।