পানাজি: ভবানীপুরের প্রচারে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, গোটা দেশে ‘খেলা হবে’। উত্তরপ্রদেশ থেকে গোয়া, সব জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে তৃণমূল। একই কথা শোনা গিয়েছিল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনিও বলেছিলেন, যে রাজ্যে বিজেপি, সেই রাজ্যে তৃণমূল লড়াইয়ে নামবে। অসম এবং ত্রিপুরা নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজিয়েছে ঘাসফুল। এবার ‘মিশন গোয়া’। উপকূলের সে রাজ্যে আজই পৌঁছেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং প্রসূন বন্দ্যোপধ্যায়। জানা গিয়েছে, ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন- জল্পনা সত্যি করে অভিষেকের হাত ধরলেন মইনুল, তৃণমূলে যোগ
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী সাতদিন সেখানেই থাকবেন সাংসদরা এবং একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকও করবেন। ইতিমধ্যেই নাকি তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর সেই রাজ্যে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে কোমর বেঁধেই নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। আগামী বছর ভারতের সবচেয়ে ছোট রাজ্য গোয়ায় বিধানসভা ভোট৷ ৪০ আসনের বিধানসভায় ক্ষমতায় দখলের দৌড়ে সামিল হওয়ার দৌড়ে তৃণমূল কংগ্রেস৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে রাজ্যে যাবেন, সেখানে দুই একটি আসনে জেতা তাঁদের লক্ষ্য নয়৷ যাবেন সরকার গঠনে বড় ভূমিকা পালন করতে৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় সেই কাজ শুরু হয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ নিয়মিত সে রাজ্যে পা রাখছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা৷ ক্রমেই আরও শক্তিশালী হচ্ছে ত্রিপুরায় দলের সংগঠন৷ এবার সেই একই কাজ তাঁরা করতে চলেছেন পশ্চিমি রাজ্য গোয়ায়৷
আরও পড়ুন- মোট সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল ১৫ লক্ষের গণ্ডি, একদিনে সুস্থ ৭৫৪
এদিকে কানাঘুষো চলছে যে, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিও৷ জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি অতি পরিচিত নাম৷ ২০১৩ সাল থেকে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন৷ এক সময় উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের দায়িত্বেও ছিলেন এই ফালেরিও৷ গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিলে উত্তর-পূর্ব ও গোয়া, দু’দিকেই লাভবান হবে দল৷ খুব সহজেই তারা বুঝে নিতে পারবে গোয়ার স্রোত৷