tmc
নয়াদিল্লি: টাকা এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা এবং লোকসভার পোর্টালে প্রবেশের পাসওয়ার্ড অন্যকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ইস্যুতে বিগত কদিন ধরেই বাংলার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। এথিক্স কমিটি ইতিমধ্যেই তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। বলা যায়, আগামী কিছু সপ্তাহের মধ্যেই এই তৃণমূল সাংসদ লোকসভা থেকে বহিষ্কার হতে পারেন।
ডিসেম্বর মাসের লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা। তাই অনুমান, ওই অধিবেশনেই তৃণমূল সাংসদের বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্টও অনুমোদিত হয়েছে। বিষয় হল, টাকা এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও দ্বিতীয় অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তাই তাঁর ওপর চাপ যে বাড়ল তা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, বুধবারই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সোশ্যাল মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় লোকপাল। বিজেপি সাংসদের দাবি, তৃণমূল সাংসদ জাতীয় সুরক্ষাকে বাজি রেখেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লোকপালের তরফে সিবিআই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর পাল্টা অবশ্য টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, সিবিআইয়ের আগে উচিত ১৩ হাজার কোটি টাকার আদানি কয়লা দুর্নীতির তদন্ত করা।