আগরতলা: ত্রিপুরায় ধৃত ১৪ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার জামিন। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন দেবাংশুরা। জামিন মঞ্জুর করেছে ত্রিপুরার খোয়াই আদালত। জামিন অযোগ্য মামলা খারিজ করেছেন বিচারক। অতিরিক্ত মামলায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মূল মামলায় জামিন পেল দেবাংশু, সুদীপ, জয়ারা।
ত্রিপুরায় পৌঁছে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোয়াই থানা, যেখানে তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে রাখা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রেফতার হওয়া সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরা৷ এদিকে আবার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তবে এখন অবশেষে জামিন হয়ে গিয়েছে সুদীপ, দেবাংশুদের। উল্লেখ্য, অভিষেকের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি৷ অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। এর আগে তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছিল, তারপর আজ আবার তাঁকে ঘিরে উত্তাল হয় পরিবেশ।
গতকাল ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। আক্রান্ত নেতা-নেত্রীদের অভিযোগ, পুলিশি নিরাপত্তায় আমবাসা থেকে যখন তাঁরা ফিরছিলেন, তখন ফের হামলা চালায় বিজেপি। গাড়ির ভাঙা জানালায় ফের বাঁশের বাড়ি মারা হয়। ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন আক্রান্ত দেবাংশু, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহারা। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয় ১৪ জন তৃণমূল নেতাকে।