নয়াদিল্লি: দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জেরার মুখে আচমকাই ভোল বদল অনুব্রত মণ্ডলের৷ তিনি নাকি কিছুই করেননি৷ যত নষ্টের গোড়া সায়গল হোসেন৷ তিনিই তাঁর নাম ভাঙিয়ে সব কিছু করেছেন৷ আর কে এনামুল হক? তিনি তাঁকেও চেনেন না৷ মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি দিল্লি আসার ঠিক আচমকাই অবস্থান বদল করলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি৷ এতদিন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই কেষ্টর জবাব ছিল ‘জানি না’, ‘মনে নেই’৷ কিন্তু, হঠাৎ করে এই ভোলবদল কেন?
আরও পড়ুন- বাস্তবের ‘বাধাই হো’! ৫০-দোরগোড়ায় অন্তঃসত্ত্বা মা, বোনকে স্বাগত জানাল ২৩ বছরের দিদি
মঙ্গলবার অনুব্রত আর বুধবার সুকন্যাকে মণীশের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি-র আধিকারিকরা। গত বছরের নভেম্বরে জেরার মুখে সুকন্যা বলেছিলেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না৷ গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই। সবটাই জানেন তাঁর বাবা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাঁর নামটা ব্যবহার করা হয়েছে। বাবা যখন যেখানে সই করতে বলেছেন, তিনি সই করে দিয়েছেন৷ অন্যদিকে, সমস্ত নথি তুলে ধরে যখন অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তিনি বলছেন, ‘জানি না’, ‘মনে নেই’। কিন্তু এবার হবে মুখোমুখি জেরা৷ ফলে একই জবাব দেওয়ার সুযোগ নেই অনুব্রতর কাছে। সেই কারণে আগে ভাগেই সায়গলের উপর যাবতীয় দায় চাপাতে চাইছেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এখন তাঁর বক্তব্য, ‘‘সায়গল যদি কিছু করে থাকে, তাহলে আমি বলতে পারব না।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডি-র আইনজীবি নীতেশ রাণা জানিয়েছিলেন, আগামী ১১ দিন হেফাজতে থাকাকালীন ১২ জনকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই কারণেই তলব করা হয়েছে সুকন্যা ও মণীশকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>