৬২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের মুখে অন্ন জোগাচ্ছেন এই IAS অফিসার

৬২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের মুখে অন্ন জোগাচ্ছেন এই IAS অফিসার

চেন্নাই: করোনা সংক্রমণ রোখার লড়াইয়ে বোধহয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিনমজুর, পরিযায়ী শ্রমিক আর দেশের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষরা৷ মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং দেশের অন্যান্য শহর দেখেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের এক অসম লড়াই৷ দিনের পর দিন ভুখা পেটে থেকে, সেতুর নীচে অপরিষ্কার জায়গায় ঘুমিয়ে রাত কেটেছে তাঁদের৷ এই হতদরিদ্র মানুষগুলোকে নিয়ে উদাসীন তাঁদের মালিকপক্ষ৷ বিপদের দিনেও কাজ থেকে তাড়ানো হয়েছে তাঁদের৷  সম্প্রতি অবশ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার৷ ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ 

যদিও অন্যদিকে, এই সংকটে ফুটে উঠেছে একাধিক মানবিক ছবি৷ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ৷ এমনই এক মানবিক মুখ দেখল তামিলনাড়ুর টেক্সটাইল শহর তিরুপ্পা৷ কারাখানার শ্রমিকদের মুখে আহার তুলে দিতে, তাঁদের সুস্থ্য ও সুরক্ষিত রাখতে এগিয়ে এলেন জেলা শাসক আইএএস অফিসার ড. বিজয়কার্তিকেয়ন৷ তাঁর নেতৃত্বেই শহরে চলছে ত্রাণ বন্টনের কাজ৷    

এই শহরজুড়ে রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক৷ অসম, বিহার, ওডিশা, উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের খোঁজে তিরুপ্পায় ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা৷ কিন্তু সারা দেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় অধিকাংশ শ্রমিকই আটকে পড়েন এই শহরে৷ তাঁদের সামনে উপস্থিত হয় এক কঠিন পরিস্থিতি৷ অর্থ নেই, নেই খাবার৷ মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারাতে হয় বহু শ্রমিককে৷ এমন সময় তাঁদের পাশে দাঁড়ান এই জেলা শাসক৷  

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজয়কার্তিকেয়ন বলেন, ‘‘এই শ্রমিকরাই তিরুপ্পার প্রধান চালিকা শক্তি৷ এই প্রবল সংকটে আমি তাঁদের না খেয়ে মরতে দিতে পারি না৷ কিছু শ্রমিক তাঁদের সংস্থার তরফে সাহায্য পেয়েছেন৷ তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন মালিকরাই৷ তবে অধিকাংশ শ্রমিকই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত৷ এই বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান লক্ষ৷’’ লকডাউনের পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করেন এই আইএএস অফিসার৷ ২৪X৭ খোলা রয়েছে তাঁদের কন্ট্রোল রুম৷ তিরুপ্পার ৬২ হাজার শ্রমিকের মুখে আহার তুলে দিতে বিলি করা হচ্ছে রেশন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *