নয়াদিল্লি: খুঁজে চলেছি তোমায় ৷ ‘তুম কাহা,ম্যায় ইহা’৷ সঙ্গিনীর দেখা পেতে দিনরাত এক করছে বাঘমামা৷ হেঁটে চলেছে মাইলের পর মাইল পথ৷
হিংসা-হানাহানি, রাজনীতির ঘেরাটোপে আটকে দুনিয়া৷ সঙ্গে নয়া দোসর করোনা৷ কিন্তু তাতে কী! তার সঙ্গিনী চাইই৷ সুইটহার্টকে খুঁজতে তাই বেরিয়ে পড়ল বাঘ মহারাজ৷
দুনিয়াদারির পরোয়া নেই তার৷ শুধু সঙ্গিনী পেলেই হল৷ তার জন্য দুই হাজার মাইল পথও সে হেঁটে চলল অবলীলায়৷ তার এই ব্যাকুলতা সারা ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ বাঘটির গতিবিধির মানচিত্র ভাইরাল নেটদুনিয়ায়৷
বন-জঙ্গল, রাস্তা, মাঠ-ঘাট, খাল-বিল পেড়িয়ে হেটেঁ চলেছে বাঘটি৷ দিনের বেলায় একটু জিড়িয়ে নেওয়া৷ তারপর সঙ্গীনির দেখা পেতে রাতভোর ফের হেঁটে চলা৷ এইভাবেই চলছে বাঘমামার সংগ্রাম৷
ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার পারভীন কাসোয়ান বাঘটির মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু ছবি পোস্ট করেছেন৷ যা দেখে আপ্লুত ট্যুইটারিস্টরা৷ প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা৷ কেউ বলছেন, ‘সেই বাঘিনী সত্যই ভাগ্যবান৷ যার খোঁজে হাজার হাজার মাইল পথ হেঁটে চলেছে তার প্রেমিক৷’ কারও আবার অভিমত, ‘বাঘটির এই কষ্টকে ভালোবাসার নাম দিচ্ছে মানুষ৷’ আবার অনেকে বলছেন, ‘বাঘটি সত্যিকারের হিরো৷ ঝড়-ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তার এই সফর তখনই সফল হবে, যখন সঙ্গিনীর দেখা পাবে সে৷’
This #Tiger from India after walking into records has settled to Dnyanganga forest. He walked for 2000 Kms through canals, fields, forest, roads & no conflict recorded. Resting in daytime & walking in night all for finding a suitable partner. Was being continuously monitored. pic.twitter.com/N1jKGXtMh2
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) March 5, 2020
‘সত্যিই সঙ্গিনীকে খুঁজে পাবে তো সে?’ প্রশ্ন অপর এক ইউজারের৷ খানিক ব্যাঙ্গের সুরেই এর ট্যুইটারিস্ট বলেন, ‘অন্যের নগ্ন যৌনতা দেখে আমরা মজা পাই৷ মানুষের যেমন গোপনীয়তা আছে, বাঘটিরও তেমন গোপনীয়তার অধিকার আছে৷ আমি ভাবছি বাঘটি বাঘিনীর দেখা পেলেও, সঙ্গম হবে তো? কেউ দেখছে নাতো, এই ভেবেই হয়তো মিলিত হতে লজ্জা পাবে ওরা৷’
পারভীন কাসোয়ান জানিয়েছেন, প্রায় দুই হাজার মাইল পথ হাঁটার পর বাঘটি ড্যানগঙ্গা অভয়ারণ্যে পৌঁছেছে৷ মহারাষ্ট্রের বুলধনা জেলায় অবস্থিত এই অভায়ারণ্যটি৷ এটি মেলঘাট টাইগার রিজার্ভেরই একটি অংশ৷