লখনউ: মাঝ রাতে মেয়েদের হোস্টেলে ওটা কে? হালুম শব্দে উড়ল ঘুম। লখনউয়ের ইন্টিগ্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস হোস্টেলের ঘটনা। মধ্যরাতে হোস্টেলে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। হুলস্থুল কাণ্ড বাধে। বাঘটিতে তাড়াতে গিয়ে জখম হন ১৫ জন। চিতাবাঘটিকে ধরতে হোস্টেলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরা৷ কিন্তু তাকে ধরা যায়নি৷
আরও পড়ুন- আরও চওড়া BJP-র ফাটল, এ বার গ্রুপ ছাড়লেন বাঁকুড়ার চার বিধায়ক
গত দুই দিন ধরে লখনউয়ের রাস্তায় ঘুরছে চিতাবাঘটি৷ বড়দিনের রাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রথম তার দর্শন মেলে৷ এর পর কখনও তাকে পাহাড়পুর, কখনও আদিলনগর, আবার কখনও কল্যাণপুরে দেখা গিয়েছে৷ কিন্তু কোনও ভাবেই বাগে আনা যায়নি৷ চিতাবাঘটিকে ধরার সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ বাঘের ভয়ে উৎসবের মরশুমে ঘরবন্দি হয়েছেন লখনউয়ের বাসিন্দারা৷
বাঘের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে নবাবনগরীকে৷ আতঙ্ক কেউ বাড়ির ভিতরে তারস্বরে গান বাজাচ্ছেন৷ কেউ আবার শরণাপন্ন হয়েছেন হনুমানজির৷ গলা ছেড়ে তাঁরা শুরু করেছেন হনুমান চালিশা পাঠ। কল্যাণপুরের সীমান্তনগরের বাসিন্দা অঞ্জু যাদব জানান, তাঁর ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে৷ সে প্রতিদিনই বাড়ির বাইরে খেলা করে৷ এদিনও তেমনটাই করছিল৷ এমন সময় কেউ চিৎকার করে বলে কলোনিতে চিতাবাঘ ঢুকেছে। অঞ্জুর কথায়, ‘‘মুহূর্তের মধ্যে সব ওলটপালট হয়ে গেল৷ আমার স্বামী তড়িঘড়ি ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন৷ ভয় পেয়ে আমি জোড়ে জোড়ে হনুমান চালিশা আওড়াতে শুরু করি।’’
আবার বাঘ বেরনোর খবর পেযেই কয়েকদিনের রসদ জোগাড় করে ঘরবন্দি হয়েছেন জানকিপুরমের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দারা৷ কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাননি তাঁরা৷ তাঁদের কথায়, আনন্দ তো থাকবেই৷ জীবন আগে৷
এরই মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর রাতে লখনউয়ের ইন্টিগ্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে পড়েছে চিতাবাঘটি। রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। বাঘ ঢোকার খবরে হস্টেলে হইচই পড়ে যায়৷ সকলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে৷ চিতাবাঘটিকে ধরতে গিয়ে জখম হন ১৫ জন৷ বনকর্মীরা বাঘটিকে ধরার চেষ্টা করলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত সেটিকে ধরা যায়নি৷