নয়াদিল্লি: বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম৷ জম্মু-কাশ্মীরে তার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে উপত্যাকার অর্থনীতি৷ গত তিনমাসে সেখানে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের৷ আগামী ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে কাশ্মীর ও লাদাখ৷ তার আগে এই পরিস্থিতি মোদি সরকারের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞমহল৷
জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে গত কয়েক মাস মাসে একাধিক দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার৷ ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে৷ কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ৷ সেখানে তাতে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ আশিক৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কাশ্মীরে ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়েছে৷ তিন মাস হতে চলল, এখনও উপত্যাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ তাই ব্যবসার নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা৷ সম্প্রতি পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যবসার মন্দা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথাই, আজ যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে৷ এতে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, বরং কাশ্মীরের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এর ফল ভুগতে হবে৷