যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তারা চৌকিদারকে ভয় পাবে : নরেন্দ্র মোদী

কুরুক্ষেত্র : দেশের সৎ মানুষেরা চৌকিদারের প্রতি আস্থাশীল। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তারা চৌকিদারকে ভয় পাবে। মঙ্গলবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”মধ্যস্থতাকারী এবং যারা দেশকে লুঠ করেছে তারা এখন ক্ষমতা নেই। সমস্ত সৎ মানুষেরা চৌকিদারের প্রতি আস্থাশীল। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা মোদীকে ভয় পাচ্ছে। বিরোধীদের তথাকথিত ‘মহাজোট’-কে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী

যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তারা চৌকিদারকে ভয় পাবে : নরেন্দ্র মোদী

কুরুক্ষেত্র : দেশের সৎ মানুষেরা চৌকিদারের প্রতি আস্থাশীল। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তারা চৌকিদারকে ভয় পাবে। মঙ্গলবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”মধ্যস্থতাকারী এবং যারা দেশকে লুঠ করেছে তারা এখন ক্ষমতা নেই। সমস্ত সৎ মানুষেরা চৌকিদারের প্রতি আস্থাশীল। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা মোদীকে ভয় পাচ্ছে। বিরোধীদের তথাকথিত ‘মহাজোট’-কে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার জন্য ‘মহামিলন’ গড়ে তুলেছে, তারাই এখন আদালত, সিবিআই, মোদীকে হুমকি দিচ্ছে। ” হরিয়ানার সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হরিয়ানার কাছে আমি বিশেষ ভাবে ধন্য। এখানে দাঁড়িয়ে যেসব লক্ষ্যমাত্রা আমরা ধার্য করেছিলাম সেই সমস্ত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছিয়ে গিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পর হরিয়ানার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করি। এক পদ এক পেনশন প্রকল্পের ঘোষণা এখান থেকেই করা হয়েছিল। আর তা আমরা পূরণ করেছি। মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের কাজও এখান থেকে ঘোষণা করা হয়। পরে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে যায়। আয়ুষ্মান ভারতে প্রথম সাহায্যপ্রাপ্তও হরিয়ানার এক মেয়ে।” মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মহিলাদের নামেই বাড়ি দেওয়া হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ মহিলা ব্যবসায়ী মুদ্রা যোজনা থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। দীনদয়াল উপাধ্যায় যোজনার মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মহিলা। ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছভারত প্রসঙ্গে নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যারা সরকারে ছিল তারা স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প নিয়ে ব্যঙ্গ করত। কিন্তু রূপোর চামুচ মুখে নিয়ে জন্মানো লোকেদের ব্যঙ্গে আমার কিছু যায় আসে না।’ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য ২১টি এইমসের কাজ চলছে বা নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ শক্তি-২০১৯ পুরস্কারও বিতরণ করেন। এছাড়াও ঝাজর জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, কুরুক্ষেত্রে আয়ুষ বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নালে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, পাঁচকুলায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুরবেদ, ফরিদাবাদে ইএসআইসি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =