নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত। এবার বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য রাজ্যসভা। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এনডিএ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবার রাজ্যসভাতেও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিই প্রধান লক্ষ্য এনডিএ শিবিরের।
গতবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে গিয়ে রাজ্যসভায় বিজেপি ও তার শরিক দলগুলিকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিন তালাক, নাগরিকত্ব সংশোধনী, মোটর ভেহিকেল আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করানো সম্ভব হয়নি। আগামী বছরগুলিতে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলেই মত বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।
লোকসভায় সংসদ সদস্যরা নির্বাচনে জিতে এলেও রাজ্যসভার ক্ষেত্রে নিয়মটা কিছুটা আলাদা। রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন বিধায়করা। যে দলের হাতে বিধায়কদের সংখ্যা যত বেশি, সেই দলের তরফে তত বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সুযোগ থাকে। রাজ্যসভার সদস্যদের মেয়াদ ছ’বছরের জন্য হলেও তাঁদের সকলের নির্বাচন একই সময়ে হয় না।
গত বছর প্রথমবারের জন্য সংসদের উচ্চকক্ষে সদস্য সংখ্যার বিচারে কংগ্রেসকে টপকে যায় বিজেপি। ২৪৫টি আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১০১ জন। পাশাপাশি, মনোনীত তিন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, মেরি কম ও নরেন্দ্র যাদব এবং তিনজন নির্দল সাংসদের সমর্থন পাওয়ায় এনডিএর পক্ষে মোট সাংসদ দাঁড়ায় ১০৭ জন। আগামী বছর ইউপিএ মনোনীত সাংসদ কেটি এস তুলসীর মেয়াদ শেষ হবে। সেই পদে নতুন একজনকে মনোনীত করে রাজ্যসভায় আনার সুযোগ রয়েছে এনডিএর হাতে।