ফের ইভিএম কারচুপির পর্দাফাঁস, নির্বাচন কমিশনের মুখে কুলুপ

আজ বিকেল: লোকসভা ভোটে বিজেপির ঘোটালা, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন জিএসটি, নোটবন্দি, রাফাল কেলেঙ্কারি, কৃষকমৃত্যু, কোনও ভারতীয়র অ্য়াকাউন্টেই প্রতিশ্রুতিমতো না যাওয়া টাকার অঙ্ক ১৫ লক্ষ, রাষ্ট্রায়ত্ম সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ, পুলওয়ামা অ্য়াটাক। ভূরি ভূরি অভিযোগ সত্ত্বেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির এই জিতে যাওয়ার পিছনে তাঁর ক্যারিশ্মাই কাজ করেছে। এমনটাই প্রচার

ফের ইভিএম কারচুপির পর্দাফাঁস, নির্বাচন কমিশনের মুখে কুলুপ

আজ বিকেল: লোকসভা ভোটে বিজেপির ঘোটালা, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন জিএসটি, নোটবন্দি, রাফাল কেলেঙ্কারি, কৃষকমৃত্যু, কোনও ভারতীয়র অ্য়াকাউন্টেই প্রতিশ্রুতিমতো না যাওয়া টাকার অঙ্ক ১৫ লক্ষ, রাষ্ট্রায়ত্ম সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ, পুলওয়ামা অ্য়াটাক। ভূরি ভূরি অভিযোগ সত্ত্বেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির এই জিতে যাওয়ার পিছনে তাঁর ক্যারিশ্মাই কাজ করেছে। এমনটাই প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। শাসকদলের দাবি, মোদি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে যাতই গালমন্দের শিকার হোন না কেন, তিনি জনস্বার্থেই কাজ করেছেন তাই ১৩০ কোটির ভারতে গেরুয়া ঝড়ে অন্যরা ধুয়ে মুছে গিয়েছে। সে বিজেপি যাই বলুক না কেন, গোরক্ষার নামে মানুষ খুনে থেকে বাকরত্ব বৃদ্ধি, মোদি কোনও প্রতিশ্রুতিই পান করতে পারেননি। তবে তারপরেও জিতেছেন, একটু যেন কিন্তু কিন্তু কাজ করচে, তাই না। করবেই তো, ভোটের নামে প্রহসন হলে করতেই হবে।

দিন তিনেক আগেই দলের কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ইভিএমে কারচুপি করেই ৩০০-র বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। বলাবাহুল্য, তাঁর এই অভিযোগ কোনও ফাঁকা বুলি নয়। সত্যি সত্যিই এমনটা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই তার জবাবদিহি করতে গিয়ে বেশ বিপাকে নির্বচন কমিশন, জটিলতা এড়াতে মুখে কুলুপ এঁটেছে। সংবাদ সংস্থা দ্য কুইন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটের ফলাফলের একটা তালিকা চেয়েছিল, এর উত্তরে কমিশনের জবাব ছিল মাত্র চার দফার যাবতীয় হিসেব নিকেশ শেষ হয়েছে বাকিটা এখনও কাজের মধ্য়েই। তখন ওই প্রথম চারদফা মানে ৩৭৩টি কেন্দ্রের ইভিএমের হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখথে চায় সংবাদমাধ্যম। কমিশন থেকে সেই রিপ্রোট পাঠালেই সকলের চোখ কপালে উঠেছে, দেখা গিয়েছে, ভোট পড়া ইভিএমের সংখ্যার সঙ্গে ভোট গণনার ইভিএসের সংখ্যায় বড়সড় গোলমাল রয়েছে। মূলত বিহার, হিমাচল ও দাক্ষিণাত্যের ছবিটাই এখন প্রকাশ্যে। তাতে যা বোঝা যাচ্ছে, ছাপ্পা ও রিগিংয়ের ক্ষেত্রে    পূর্বতন যে কোনও শাসকদলকে বেশ কয়েক গোল দিয়েছে  ক্ষমতাসীন বিজেপি।

চলে আসি প্রামাণ্য নথিতে, তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ১২ লক্ষ ১৪হাজার ৮৬টি ইভিএমে, কিন্তু গণনার সময় দেখা যায় ১২ লক্ষ ৩২ হাজার ৪১৭টি ইভিএম থেকে ভোট গুনছেন কর্মীরা। এবং ১৮হাজার ৩৩১টি ভোট গণনার হিসেবে ঢুকলেও তাদের আগমনের সূত্রটা অজানাই। তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী ও শ্রীপেরুমবুদুর লোকসভা কেন্দ্রেও একই ছবি, সেখানে যথাক্রমে ভোট হয়েছিল ১১ লক্ষ ৯৪হাজার, ৪৪০টি ইভিএমে, পরে গুনতে বসে পাওয়া যায় ১২ লক্ষ ১২ হাজার ৩১১টি ইভিএম। অন্যদিকে শ্রীপেরুমবুদুরে ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৬৬টি ইভিএমে-র হিসেব দেখানো হলেও ভোট হয়েছে ১৪ লক্ষ তিন হাজার ১৭৮টি ইভিএমে। মথুরাতেই সেই রকমই গলদ, ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার ২০৬টি ইভিএমের হিসেবে ভোট হয়েছে ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ১১২টি ইভিএম পাওয়া যায় গণনার সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seventeen =