ফিরোজাবাদ: প্রবল জানযটে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, কোনও গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছনো দুষ্কর হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনের থেকে অনেক আগে বের হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই অভিযোগ নিয়ে ফিরোজাবাদের এক যুবক নালিশ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নালিশ করার আগেই তিনি দুঘণ্টা ফিরোজাবাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলালেন। ফিরোজাবাদের ওই যুবকের নাম সনু চৌহান।
মঙ্গলবার ফিরোজাবাদের সুভাষ মোড়ে প্রবল যানজট থাকায় ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে নালিশ জানাতে যান সোনু। সিনিয়র অফিসার সচিন্দ্র প্যাটেল তাঁকেই ট্র্যাফিক সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে দেন। পিছু না হঠে, সেই কাজে রাজি হয়ে যান সোনুও। ট্র্যাফিক ভলান্টিয়ারের পদ দিয়ে সোনুকে ট্র্যাফিক সেফটি ভেস্ট ও হেলমেট দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
সোনুর নির্দেশের পরেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরোজাবাদের জানযট হালকা হতে শুরু করে। দুই ঘণ্টা কাজ করার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, ট্রাফিক সামলানো কত কঠিন কাজ। একজন ট্রাফিক আইন অমান্য করলে তার প্রভাব পড়ে গোটা এলাকায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ।যানজটের আকার ধারণ করে। তিনি মনে করছেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করলে কড়া শাস্তির প্রয়োজন। আর তার সঙ্গে প্রয়োজন তাঁর মতো ট্রাফিক সমালানো। একবার কেউ ট্রাফিক সামলালে বুঝতে পারবেব, ট্রাফিক আইন মেনে চলা নিজের জন্য ও অন্যের জন্য কত প্রয়োজন।