‘আমার করোনা হয়েছে,  হাসপাতালে বেড নেই,’ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে চিৎকার যুবকের

‘আমার করোনা হয়েছে,  হাসপাতালে বেড নেই,’ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে চিৎকার যুবকের

বেঙ্গালুরু:   আমার করোনা হয়েছে, ছেলের প্রবল জ্বর। কোনও হাসপাতালে বেড নেই। বৃহস্পতিবার  কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বাসভবনের সামনে এক যুবককে চিৎকার করতে দেখা যায়।  বৃহস্পতিবার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেতেই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার  পরেই আতঙ্ক প্রকাশ করেনছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মনে করছেন,  করোনা পরিস্থিতি যে হারে বাড়ছে, তাতে দ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে। এটা তার প্রাথমিক পর্যায় বলেও মনে করছেন অনেকে।

সোশ্যাল  মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যায়,  এক যুবক তাঁক সন্তানকে কোলে নিয়ে ইয়েদুরাপ্পার বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। তাঁর কোলে ছেলে। পাশে তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবক কোনও হাসপাতালে যাননি। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে চলে এসেছেন। আসলে ওই যুবকের কাছে চিকিৎসার অর্থ ছিল না বলে ইয়েদুরাপ্পার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।  তবে ওই যুবককে তাঁর পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। পরিস্থিতি  সামাল দিতে নাজেহাল মানুষ।  দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম কর্ণাটক। কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি হয়েছে গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।   কর্ণাটকের স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ উঠছে, করোনার বেড থাকার পরেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে আসছে।

 কর্নাটক সরকারের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বার থেকে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ১৯ রোগীর জন্য ক’টি বেড শূন্য রয়েছে, তার নিত্য দিনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এর আগে কর্নাটক সরকারের ২৩ জুনের বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশে বলা হয়, প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালকে মোট শয্যা সংখ্যার ৫০ শতাংশ কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =