গুজরাত: এ যেন সেই রূপকথার গল্প। রাজকুমারী জানলা দিয়ে চুল ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, আর তা বেয়ে তাঁর কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রেমিক৷ বাস্তবে এমন একজনের খোঁজ মিললেও, তিনি রূপকথার গল্পের রাজকুমারী নন৷ তাঁর নাম নীলাংশি৷ আর তাঁর চুল বেয়েও প্রেমিক দেখা করতে আসেন না৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কিশোরী হিসেবে সবচেয়ে লম্বা চুলের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। তবে কিশোরী থেকে যুবতী হয়েই চুলটা কেটে বাদ দিয়ে দিলেন নীলাংশি৷ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চুল কেটে ফেলার আগে একটি ভিডিও শ্যুট করেছেন নীলাংশি। এমনকি নিজের লম্বা চুলের গল্প শেয়ার করেছেন। চুল কেটে নতুন হেয়ারস্টাইলও সেই ভিডিওতেই শেয়ার করেছেন তিনি। সেই চুল কাটার ভিডিও নজর কেড়েছে নেট দুনিয়ার। তিনি বলেন, ‘আমার যখন ছ’বছর বয়স, সেসময় চুল কাটাটা খুবই বাজে হয়েছিল একবার। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোনওদিন আর চুল কাটব না। তার পর থেকে এতদিন চুল কাটিনি।’ নীলাংশি ১২ বছর পর নিজের চুল কাটলেন, যখন তিনি ১৮ বছরে পা দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কিশোরী হিসেবে সবচেয়ে লম্বা চুলের রেকর্ডধারী নীলাংশির চুলের মাপ ২০০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি।
২০২০ সালের জুলাই মাসে শেষ রেকর্ডটি তিনি করেছেন । ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও এই পুরস্কার জয় করেছিলেন তিনি। এবার তিনি সেই চুলই কেটে বাদ দিয়ে দিলেন। ১৮ বছরে পা দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং নিজের এতদিনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদকে নিজের থেকে আলাদা করেন নীলাংশি। অনেকেই এখন চুল কেটে নিলামে তোলেন আবার কেউ ক্যান্সার রোগীদের দান করে দেন বা মিউজিয়ামেও রেখে দেন। তবে মায়ের কথাকে মান্যতা দিয়ে নিজের চুল মিউজিয়ামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীলাংশি। তাঁর মা নিজের চুল কেটে ইতিমধ্যেই ক্যান্সার রোগীদের দান করেছেন।