দায়িত্ব জ্ঞানহীন পাত্রকে মণ্ডপ থেকেই ফিরিয়ে দিলেন পাত্রী

বিজনৌর: সামাজিক বাধ্যবাধকতা, রীতি নীতির ঊর্ধ্বে উঠে নারীরা নিজের স্বাধীন মনোভাব প্রকাশের সৎসাহস দেখাচ্ছেন বহু ক্ষেত্রেই৷ শিক্ষা, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈবাহিক মর্যাদার ক্ষেত্রেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন৷ অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও পরিবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন মেয়েরা নিজেই৷ বিয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন থেকে শুরু করে পণের বিরুদ্ধেও নিজেদের মত প্রকাশ করতে সৎ সাহস এগিয়ে আসছেন৷

দায়িত্ব জ্ঞানহীন পাত্রকে মণ্ডপ থেকেই ফিরিয়ে দিলেন পাত্রী

বিজনৌর: সামাজিক বাধ্যবাধকতা, রীতি নীতির ঊর্ধ্বে উঠে নারীরা নিজের স্বাধীন মনোভাব প্রকাশের সৎসাহস দেখাচ্ছেন বহু ক্ষেত্রেই৷ শিক্ষা, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈবাহিক মর্যাদার ক্ষেত্রেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন৷ অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও পরিবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন মেয়েরা নিজেই৷

বিয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন থেকে শুরু করে পণের বিরুদ্ধেও নিজেদের মত প্রকাশ করতে সৎ সাহস এগিয়ে আসছেন৷ তবে এক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যরকম, কারণ পাত্রের বিরুদ্ধে সময়ানুবর্তিতা অর্থাৎ সময়জ্ঞান নেই, এই অভিযোগে বিয়ে ভেঙে দিলেন পাত্রী৷ ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের নঙ্গলজাত গ্রামের৷ এর আগেই অবশ্য পাত্র-পাত্রীর গণবিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল৷ তবে অনুষ্ঠান করে বিয়ে না হলে পাত্রীকে ঘরে তোলা হবেনা বলেই জানিয়েছিল পাত্রপক্ষ৷ তার সঙ্গে পণের দাবিও করেছিল৷

গাড়ি-টাকা-গয়নাগাটি সহ একটা বড় মাপের পণ৷ পণের বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়৷ সমস্যাটা হয়তো এই বেআইনি পণের বিষয়টা থেকেই তৈরি হয়েছিল৷ তবে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে পাত্রী সে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে পাত্রের সময় জ্ঞানকেই বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে৷ কারণ পাত্রপক্ষের বিয়ের মন্ডপে পৌঁছানোর কথা ছিল যেখানে বেলা দুটোর মধ্যে, তা দিন পেরিয়ে রাত দশটা হয়ে যায়৷

সত্যিই বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ধৈর্যের এটা যথেষ্টই বেশি সময় বলাই যায়৷ মেয়ের বাড়ির লোক এতটাই খেপেছিলেন যে দেরি করে পৌঁছনোয় পাত্রপক্ষকে রীতিমত মারধর করে ঘরে আটকে রেখে দেয়৷ ঘটনার পর দু’পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়৷ যদিও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ ঘটনায় আরও চমক ছিল নির্দিষ্ট পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দিলেও ওই মণ্ডপেই স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই পাত্রীর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *