উত্তরাখণ্ড: চারধাম যাত্রা অনুমোদন দেওয়ায় সরকারকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। সেরাজ্যের আদালত জানাল, যেভাবে করোনা নামক অতিমারির এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও কুম্ভের পরে চারধাম যাত্রায় কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
কুম্ভমেলার পরে চারধাম যাত্রারও অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে এদিন উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরএস চৌহান ও বিচারপতি অলোক ভার্মার বেঞ্চ রীতিমতো তিরষ্কার করে সরকারকে। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘যান, গিয়ে দেখে আসুন সেখানে কী হচ্ছে।’ সম্প্রতি নিয়মিত প্রার্থনার জন্য চারধাম মন্দিরগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কোভিড বিধিনিষেধ হিসেবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব কিংবা মাস্ক পরার মতো বিষয়গুলি মানা হচ্ছে না। যদিও পর্যটন সচিব দিলীপ জাওয়ালকারের দাবি, প্রতিটি মন্দিরেই কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যবেক্ষক রয়েছেন। কিন্তু আদালত এদিন সাফ জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি, ভিডিও উঠে আসছে তা এই দাবির সপক্ষে যাচ্ছে না।
ওই প্রসঙ্গ তুলে এদিন আদালত জানায়, ‘কেন আমরা এভাবে আমাদের নিজেদেরই লজ্জিত করছি? আপনারা আদালতকে বোকা বানাতেই পারেন। কিন্তু মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন আপনারা।’ এই প্রসঙ্গ ছাড়াও রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়েও আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রের কাছে একহাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের জন্য আবেদন করতে উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কনসেনট্রেটরগুলি বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে বণ্টনের ব্যবস্থা করতেও বলা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে আদালত মনে করিয়ে দেয় ১০ মে এই আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে চিঠি পাঠানো হলেও এখনও কোনও উত্তর মেলেনি তাদের তরফে। উত্তরাখণ্ডকে এভাবে অবহেলা করা হচ্ছে কেন বলে কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন করেছে আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে অতিমারির মধ্যেই কুম্ভমেলার আয়োজন করে বিতর্কে জড়িয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার।