নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতোই ভয়াবহ ও গুরুতর হতে চলেছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ, এমনটাই জানালো এসবিআই ইকোর্যাপের একটি স্বাস্থ্য সমীক্ষা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৯৮ দিন স্থায়ী হতে পারে তৃতীয় ঢেউ। তবে প্রস্তুতি নিতে হবে প্রশাসনকে। মানুষকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। সমীক্ষা বলছে, তৃতীয় দফার ঢেউতে আরও বেশি করে সংক্রমিত হতে পারে শিশুরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথমসারির দেশগুলিতে ৯৮ দিন মতো স্থায়ী হবে। সেক্ষেত্রে ভারতেও এই ঢেউয়ের মেয়াদ থাকবে ৯৮ দিন। যেখানে ভারতে ১০৮ দিন স্থায়ী হচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় তরঙ্গের মতোই শক্তিশালী হবে তৃতীয় তরঙ্গও। সেই অনুযায়ী সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে এই সমীক্ষায়। তবে এই ঢেউতে শিশুদের সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার কথা বিশেষ একটা শোনা যায়নি। দ্বিতীয় তরঙ্গে শিশুদের সংক্রমিত হওয়া শুরু হয়েছে। এই নিয়ে করোনার পরিবর্তিত চরিত্রের উপর কড়া নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাস শিশুদের শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শিশুরা উপসর্গহীন ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার চেষ্টা চলছে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৭,৮৯৪। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রথম তরঙ্গের সর্বোচ্চ। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যার কাছে এই সংখ্যা কিছুই নয়। চলতি বছরের ৭ মে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। মাসিক হিসেবে ভারতে মে মাসে প্রায় ৯০.৩ লক্ষ করোনা কেস রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত দেড় বছরে বিশ্বের যে কোনও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৭,৫১০ জন। কমেছিল মৃত্যুর হারও। সোমবার ২৪ ঘন্টায় মারা যান ২৭৯৫ জন। কিন্তু মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় ফের লাফিয়ে বাড়ে সংক্রমিত ও মৃত্যুর হার। মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ১,৩২,৭৮৮ জন এবং মারা যান ৩২০৭ জন।