নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে এম নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। `কমন কজ’ নামে এক এনজিও-এর তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদন করেন। ১০ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন নিয়োগ কমিটি নাগেশ্বর রাওয়কে পুনরায় সিবিআই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের পদে নিয়োগ করতে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা খারিজের আবেদন করা হয়।
প্রশান্ত ভূষণ তাঁর আবেদনে বলেছেন, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এর ৪ এ ধারা অনুযায়ী আদালত কেন্দ্রকে রেগুলার সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের অনুমতি দিক। সিবিআইয়ের ২ কর্তার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠায় অক্টোবরের মাঝরাতে আচমকা বিজ্ঞপ্তি জারি করে অলোক ভার্মাকে ডিরেক্টর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আরেক কর্তা আস্তানাকেও। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি ভার্মার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্যতম জয়েন্ট ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাওকে।
এরপর কিছুদিন আগে সিবিআই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করা হয় অলোক ভার্মাকে। সুপ্রিম কোর্ট ভর্মাকে পুনর্বহাল করার পর তিনি দায়িত্ব ফিরেই যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না সরকার। তাই তাঁকে সরানো হয় বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে থাকা অনেক আধিকারিককেই সেই সময় বদলি করা হয়েছিল। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ভার্মা চেষ্টা করেন বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরানোর পর অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর পদে আনা হয় এম নাগেশ্বর রাওকে। প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে পাঠানো হয়েছিল দমকল ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি করে। সেই পদে যোগ দিতে অস্বীকার করেন অলোক ভার্মা। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবকে এক চিঠিতে ভার্মা লিখেছেন, আমাকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সিলেকশন কমিটি আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোনো সুযোগ দেয়নি। ওড়িশা ব্যাচের আইপিএস অফিসার নাগেশ্বর রাও আপাতত প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সিদ্ধান্তকে এদিন চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হল। সেই সিদ্ধান্তকে যে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল।