নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট৷ বুধবার পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চের ইন চেম্বার শুনানিতে খারিজ হয় এই মামলা৷
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি এস এ ববদে এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়, অশোক ভূষণ, এসএ নাজির এবং সঞ্জীব খান্না৷ ৫০ মিনিট ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে মামলা পুনর্বিবেচনারআর্জি খারিজ করে বিচারপতিদের এই বেঞ্চ৷ অযোধ্যা মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে মোট ১৮ টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল৷ হিন্দু এবং মুসলিম দু’পক্ষই নিজেদের দাবি জানিয়ে মামলা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিল৷ এই সমস্ত দাবি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের ওপরে দ্বিতীয়বার আর কোন বিচারপ্রক্রিয়া হবে না বলেও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি জাফরিয়াব জিলানী সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন৷ ২ ডিসেম্বর, অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য প্রথম আবেদনটি দাখিল করেন মামলার মূল আইনী উত্তরাধিকারী মাওলানা সৈয়দ আশাদ রশিদী এবং জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের উত্তর প্রদেশের সভাপতি৷ ৬ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ছয়টি আবেদন করা হয়েছিল৷
৯ ডিসেম্বর আরও দু’টি রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল, একটি হ’ল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা এবং অন্যটি ৪০ জন অধিকার কর্মীসহ ৪০ জন রায়টির পর্যালোচনা চেয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল৷
গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল৷
অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷ মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুসলিম পক্ষকে৷ বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরিতে বাধা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ৷ বৃহস্পতিবার অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই রাম মন্দির তৈরীর পথে আর বাধা রইল না বলাই যায়৷