কর্ণাটকে কংগ্রেসের সাফল্যে পাল্টে যাচ্ছে বিরোধী জোটের ছবি! লোকসভার আগে ঘুরল ‘খেলা’!

কর্ণাটকে কংগ্রেসের সাফল্যে পাল্টে যাচ্ছে বিরোধী জোটের ছবি! লোকসভার আগে ঘুরল ‘খেলা’!

নয়াদিল্লি: কার্যত মিলে গিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। কর্ণাটকে বিপুল জয়ের পথে কংগ্রেস। আর এই সাফল্য রাহুল গান্ধীর, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের। রাহুল গান্ধী যে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা করেছিলেন তার ফল পাওয়া যাচ্ছে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেই সঙ্গে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন এই জয়ের ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীরা অনেকটাই পিছনে ফেলে দিলেন বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের  নেতানেত্রীদের।

 সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল। কারণ তৃণমূল চায় বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চায় তৃণমূল। কিন্তু কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয় ছবিটা অনেকটাই বদলে দিল। রাহুল গান্ধী বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন বলে রাজনীতি সচেতন মানুষের ধারণা। বলাবাহুল্য সেটাই চাইছিল কংগ্রেস। তাই অপছন্দ হলেও আগামী দিনে বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেস তথা রাহুলের নেতৃত্ব নিশ্চিত ভাবে মানতে হবে অ-বিজেপি দলগুলিকে।

 

ঘটনা হল চার বছর আগে কর্ণাটকের একটি সভায় ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে রাহুলকে। আগামী দিনে উচ্চ আদালতের নির্দেশ পক্ষে না এলে দু’বছরের জন্য রাহুলকে জেলের সাজাও খাটতে হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয় নিঃসন্দেহে অক্সিজেন জোগাল হাত শিবিরকে। তাই দক্ষিণের রাজ্যটিতে কংগ্রেসের ‘কামব্যাক’  জাতীয় রাজনীতির ছবিটা রাতারাতি বদলে দিয়েছে। এতে বিজেপি যে কতটা চাপে পড়ল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে রাখতে হবে কর্ণাটক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে গিয়ে ১৭টি সভা করেছেন। তাই বিজেপির হারে নিশ্চিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর ‘ফেসলস’ হয়েছে।

বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রচার করতে শুরু করেছে যে ‘মোদি ম্যাজিক’ শেষ হয়ে আসছে। এতে যে বিজেপির কতটা সমস্যা বাড়বে সেটা সকলেই জানেন। আসলে বিজেপি জিতলে আরও ব্যাকফুটে চলে যেত কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে তৃণমূল প্রচার করত বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প আর কিছু নেই। একমাত্র তারাই বিজেপিকে হারাতে পারে, এই প্রচারকে নিঃসন্দেহে আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যেত তৃণমূল। কিন্তু এবার সেটা করা যাচ্ছে না। বলাবাহুল্য কর্ণাটকের ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতি আগামী কয়েক মাসে কোন দিকে বাঁক নেয় সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *