নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের সময়সীমা শেষের পথে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ালে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকেই ঘরবন্দী দশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ভারত। তাই ১৫ এপ্রিল থেকেই রেল পরিষেবা শুরু করার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রেল পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করতে দেশের ১৭টি জোনেই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। রাজধানী, শতাব্দি, দুরন্ত সহ লোকাল ট্রেন গুলি মিলিয়ে প্রায় ৮০ ট্রেন চলাচল শুরু হবে সম্ভবত ১৫ এপ্রিল থেকেই। রেলের সমস্ত নিরাপত্তা কর্মী, ড্রাইভার, গার্ড, টিটিই এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ১৫ ই এপ্রিল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
যদিও, সরকারের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে গঠিত মন্ত্রীদের বিশেষ কমিটির গ্রিন সিগন্যালের পরেই ট্রেনচলাচল প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে, রেলের তরফৈ সমস্ত রেলওয়ে জোনগুলিতে ট্রেনের সময়সূচী, ট্রেন চলাচলের মাত্রা এবং সেই অনুযায়ী রেকের ব্যবস্থা সহ একটি “পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা” গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে এই পরিস্থিতিতে ট্রেনে যাত্রাকালে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নির্দেশিকাও জারি করতে পারে রেলমন্ত্রক। যেমন, ট্রেনে সফরকালে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে মাস্ক। সফরকালেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের চিন্তা-ভাবনা করছে রেলমন্ত্রক। ট্রেনে ওঠার আগেই প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। তবে প্রত্যেক যাত্রীকে স্ক্রিনিং করে ট্রেনে তুলতে গিয়ে সময়ের বিষয়টিও মাথায় রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই সফরকালেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের চিন্তা-ভাবনা করছে রেলমন্ত্রক। সেক্ষেত্রে টিটিইদের হাতেই থার্মাল স্ক্রিনিং যন্ত্র দেওয়া যায় কি না, সেই ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ট্রেনের প্রত্যেক যাত্রীকে স্যানিটাইজার দেবে রেল পাশাপাশি স্যানিটাইজারের ব্যবহার যাত্রীরা করছেন কিনা, তাও নিয়মমাফিক খতিয়ে দেখবেন ট্রেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট রেলকর্মীরা।
অন্যদিকে ট্রেনের মধ্যেও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে স্যোশাল ডিস্ট্যান্সিং। নিয়ম মেনে যাত্রীদের মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব নিশ্চিত করতে ট্রেনের মিডল বার্থগুলিকে বুকিংয়ের আওতার বাইরে রাখার কথা ভাবছে রেল। সেক্ষেত্রে আগামী ১৫ এপ্রিল বা পরবর্তী অনুমান তারিখের জন্য তারা ইতিমধ্যেই ট্রেনের টিকিট বুকিং করে ফেলেছেন এবং মিডল বার্থ পেয়েছেন, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
রেলযাত্রীদের শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করতে আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার করা হতে পারে। যাত্রীদের কোন রকম শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়লে বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও তারা ট্রেনের সফল করতে পারবে না। প্রয়োজনে সেই যাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালেও পাঠানো হতে পারে।